গাড়ির ভেতর আগুন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
একটি মারাত্মক ভয়ের ভিডিয়ো সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার এমনকি হোয়াটসঅ্যাপেও প্রচুর শেয়ার হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে গাড়ির মধ্যে পারফিউম ব্যবহার করতে গিয়ে আগুন লেগে যাচ্ছে। তবে ভাইরাল ভিডিয়োটিতে, আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িতে বসে রয়েছেন তিন জন। ভেতরে গান চলছে। সামনের সিটে বসা এক কিশোর, পিছনের সিটে বসা কিশোরকে হাত তুলে কিছু একটা বলছে। পিছনের সিট থেকে কিছু একটা তুলে নিচ্ছে কিশোরটি। আগুন জ্বলে উঠছে গাড়িতে। পিছনের সিটে বসা কিশোরের চুলে আগুন ধরে যায়। সবাই দৌড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ততক্ষণে সব অন্ধকার, ধোঁয়ায় ভরে গেছে গোটা গাড়ি।
কেউ বলছেন, পিছনের সিটে বসা কিশোর ডিয়োড্রেন্ট স্প্রে করতেই এই কাণ্ড। এসি গাড়ির মধ্যে দরজা জানালা বন্ধ থাকা অবস্থায় স্প্রে করতেই আগুন জ্বলে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সত্যিই কি ডিয়োডর্যান্ট স্প্রে করতেই আগুন জ্বলে যায় এভাবে? ঘটনাটিই বা কী?
গুগলে খোঁজ করে পাওয়া যায়, এটি আসলে ২০১৫ সালের ঘটনা। ঘটনার পরই একটি খবর হয় এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রে। সম্প্রতি ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে।
আরও একটু অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে, ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই সবাই বলতে শুরু করেন, ডিয়োডর্যান্ট থেকেই এই অঘটন। কিন্তু পরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া কিশোরদের মধ্যে একজন জানায়, যা বলা হচ্ছে তা নয়।
আরও পড়ুন : বৌ কাঁধে দৌড়, দ্বিতীয় বার সেরা লিথুয়ানিয়ার দম্পতি
আরও পড়ুন : ৪৫০ কোটি বছরের পুরনো উল্কার ধাতু দিয়ে তৈরি পিস্তল নিলামে উঠছে
২০১৫ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্রে ওই কিশোরের বক্তব্য প্রকাশ পায়। কিশোর জানিয়েছিল, আমি ও আমার ভাই সবাই ভাল আছি। আমি মাত্র ৬ শংতাশ আগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছি। গাড়ির জানালা দরজা বন্ধ ছিল। গাড়িতে সুন্দর একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আমরা বুঝতে পারিনি এটা জামা কাপড়ে স্প্রে করার সুগন্ধী ছিল। কিন্তু আমরা যখন একটি গ্যাস লাইটার জ্বালি সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।পরের বার সতর্ক থাকব, যাতে কোনও এই রকম গ্যাস লিক না করে।
এই বক্তব্য থেকে যেটা মনে করা হচ্ছে, গাড়িতে রাখা কোনও ডিয়োডর্যান্ট লিক করেছিল। গ্যাস লাইটার জ্বালতেই আগুন লেগে যায়।
ঘটনা যাই হোক, আপনিও সতর্ক থাকুন। যে কোনও জায়গায় আগুন জ্বালার আগে নিশ্চিত হন, কোনও গ্যাস জমে আছে কিনা সেখানে। না হলে বিপদে পড়তে পারেন।