‘ফিফটি শেডস অফ গ্রে’ ছবির একটি দৃশ্য।
ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছিল। পাল্টা আদালতের কাছে শিক্ষকের সাফাই, তিনি নির্দোষ।পুরোটাই ছাত্রীর কল্পনা প্রসূত। এই কল্পনা যৌনপ্রেমের ছবি ‘ফিফটি শেডস অফ গ্রে’ দেখার কারণেও হতে পারে। হলিউডের ওই ছবিতে এক ছাত্রী স্কুলের প্রজেক্ট করতে গিয়ে একজন শিল্পপতির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষক জানিয়েছেন, ছবিটি দেখেই শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের একটি কল্পকাহিনি বানিয়ে নিয়েছেন ওই ছাত্রী।
আদালতকে অবশ্য ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন, গান শেখানোর নামে গত তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন শিক্ষক। এমনকি তাঁকে ভালবাসার কথা জানিয়ে লিখিত বার্তাও পাঠিয়েছেন। ‘আই লাভ ইউ’ লেখা একটি মেসেজ প্রমাণ হিসেবে আদালতে পেশ করেছিলেন ছাত্রী। শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি আক্ষরিক অর্থে কথাটি বলতে চাননি। ওটি মজাচ্ছলেই পাঠিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বেন ব্রেকওয়েল। বয়স ৪০। কেমব্রিজের স্নাতক বেন পেশাদার গায়ক। আবার লন্ডনের একটি স্কুলে গানও শেখান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছেন তাঁর দুই ছাত্রী। এঁদের এক জনের বয়স ১৩। অন্য জনের ১৪।
১৪ বছরের কিশেরী জানিয়েছেন, শিক্ষকের লন্ডনের বাড়িতেই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। জবাবে শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি কেমব্রিজের স্নাতক হতে পারেন তবে আসলে বড্ড বোকা। তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘যে ভাবে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে মিশেছিলেন, তা ঠিক হয়নি। পুরোটাই বোকার মতো কাজ হয়েছে। আর এই বোকামির মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁকে।’’