ফ্রেডি ব্লম। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
বিশ্বের সম্ভাব্য সব থেকে প্রবীণ ব্যক্তি মারা গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রেডি ব্লম-এর পরিবারের দাবি, তিনিই সব থেকে প্রবীণ ছিলেন। যদিও গিনেস ওয়ার্ল্ডস কখনও ফ্রেডির জন্ম সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেনি, ফলে সরকারি ভাবে তাঁর মাথায় সেই শিরোপাও ওঠেনি। তবে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯০৪ সালের মে মাসে ইস্টার্ন কেপ-এ জন্মগ্রহণ করেন ফ্রেডি। স্প্যানিস ফ্লু অতিমারি, দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পরেও টিকে থাকা ফ্রেডি শনিবার ১১৬ বছর বয়সে মারা গেলেন।
১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু অতিমারিতে ফ্রেডির গোটা পরিবার শেষ হয়ে যায়, শুধু তিনিই বেঁচে যান সে যাত্রায়। আর এ ছাড়া শুধু দু'টি বিশ্বযুদ্ধই নয়, ফ্রেডি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবিদ্বেষের ধাক্কা সামলেও বেঁচে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম ফ্রেডিকে বিশ্বের সব থেকে প্রবীণ মানুষ বলে দাবি করে। বর্তমানে সরকারি ভাবে এই শিরোপা রয়েছে জাপানের জিরোয়েমন কিমুরা-র, তাঁর বয়সও ১১৬ বছর। তবে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি দিন বাঁচার রেকর্ড নথিবদ্ধ হয়েছে ফ্রান্সের জেনি লুইস ক্যালমেন্ট-এর নামে। তিনি ১২২ বছরে মারা যান।
দীর্ঘ কর্মজীবনে ফ্রেডি নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮০ বছর বয়সে অবসর নেন। ২০১৮ সালে এক বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ফ্রেডি জানান, তিনি নিয়মিত ধূমপান করতেন। তবে সিগারেট নয়, তিনি খবরের কাজজের টুকরোতে তামাক মুড়ে ধূমপান করতেন। তাঁর দীর্ঘ জীবনে কোনও গোপনীয় কিছু নেই বলেও দাবি করেন ফ্রেডি। ফ্রেডির মৃত্যুর পর তাঁর নাতি জানিয়েছেন, শারীরিক ভাবে তাঁর দাদু বেশ সক্ষম ছিলন। মৃত্যুর দু’ সপ্তাহ আগেও তাঁকে কাঠ কাটতে দেখা গিয়েছে। কেপ টাউনে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, ‘মির্জাপুর সিজন ২’-এর দিন ঘোষণা, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা
আরও পড়ুন: ‘নিনজাদের ঘর’ থেকে মাত্র ৩ মিনিটে ৭ লাখ টাকা সাফ করে দিল চোরেরা!