Viral

Viral: রক্তাক্ত হয়েও ছোট্ট মালকিনকে বাঁচাল পোষ্য কুকুর, বাহবা কুড়োচ্ছে ১০ বছরের মেসি

মেসির এই কীর্তিতে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত তার মালকিনও। বছর দশেকের সেই লিলি কোওয়ানের শংসাপত্র— মেসি অত্যন্ত সাহসী!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টরন্টো শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২১ ১৬:১৮
Share:

কায়োটির থাবা বসেছে মেসির মুখে-পিঠে। জখম হয়েছে একটি পা-ও। ছবি: সংগৃহীত।

তীক্ষ্ণ থাবার আঁচড়ে কামড়ে রক্তাক্ত হয়েছে গোটা দেহ। তা সত্ত্বেও ছোট্ট মালকিনকে বাঁচাতে রুখে দাঁড়িয়েছে তার পোষ্য কুকুর মেসি। নিজের থেকে বহু গুণ বড় আকারের একটি কায়োটির দাঁত-নখ-থাবার বিরুদ্ধে ছোট্ট মেসির লড়াইয়ে মুগ্ধ নেটদুনিয়ার অনেকেই। মেসির এই কীর্তিতে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত তার মালকিনও। বছর দশেকের মালকিন লিলি কোওয়ানের শংসাপত্র— মেসি অত্যন্ত সাহসী!

প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিপদের মুখে পড়েছিল ১০ বছরের লিলিরা। ছোট্ট মেসির গলায় বকলস বেঁধে সাতসকালে স্কারবরোর রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিল সে। নির্জন রাস্তায় হঠাৎই তাদের হামলা করে একটি বিশালাকায় কায়োটি। নেকড়ে জাতীয় ওই প্রাণীটি সাধারণত উত্তর আমেরিকায় দেখা যায়। নেকড়ের থেকে আকারে ছোট হলেও মেসির তুলনায় সে বহু গুণে ওজনদার। ১০ বছরের ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার মেসি মোটে ২-৪ কিলোগ্রামের ওজনের। তবুও কায়োটির হিংস্র চেহারাতেও ঘাবড়ে যায়নি সে। ততক্ষণে রাস্তায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রাণভয়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে শুরু করেছে লিলি। তবে নির্জন রাস্তায় তাদের বাঁচানোর কেউ ছিলেন না। লিলির কথায়, ‘‘ভাবছিলাম, এ বার আমার কী হবে? চিৎকার করলেও কেউ তা শুনতে পাননি। লোকজনের ডোরবেল বাজাতে শুরু করি। অবশেষে এক জন প্রতিবেশী বাড়িতে আশ্রয় দেন।’’

Advertisement

মেসির বীরত্বের গোটাটাই ধরা পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে দেখা গিয়েছে, অসহায় লিলির রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসি। স্কারবরোর রাস্তায় ওই হিংস্র কায়োটির বিরুদ্ধে প্রাণপণে লড়াই চালিয়েছে। অবশেষে সেটিকে তাড়িয়ে দিতেও সফল হয়েছে।

মেসির লড়াইয়ে মুগ্ধ তার মালকিন লিলি কোওয়ান। ছবি: সংগৃহীত।

তবে এই অসম লড়াইয়ে গুরুতর জখম হয়েছে মেসি। কায়োটির থাবা বসেছে তার তার মুখে-পিঠে। জখম হয়েছে একটি পা-ও। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে তাকে। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়েছে মেসির। সেই ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ তুলতে নেটমাধ্যমে প্রচারের সাহায্যে উঠেছে ২৯ হাজার ৭৯২ ডলার। অবশেষে খানিকটা সুস্থ হয়েছে মেসি। লিলি বলে, ‘‘এখন একটু লেজ নাড়াতে পারছে মেসি। তবে তাকে দিনে ছ’বার ওষুধ খেতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement