আগে যেমন দেখতে ছিলেন অ্যান্ড্রিয়া। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, নিজেকে সুন্দর করে তুলতে অনেকেই আজকাল চিকিত্সকদের দ্বারস্থ হন। তা বলে নিজেকে বার্বি ডলের মতো করে তুলতে কেউ ১৭ বার শরীরে অ্যাসিডইঞ্জেকশন নিয়েছেন, এমন ঘটনা মনে হয় আগেকখনও শোনা যায়নি। বুলগেরিয়ার এক যুবতী ঠিক তাই করেছেন। অ্যাসিড ইঞ্জেকশনের পর তাঁর নতুন রূপ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুলগেরিয়ার অ্যান্ড্রিয়া ইভানোভা, তাঁর স্বপ্ন ছিল নিজেকে বার্বি ডলের মতো করে গড়ে তুলবেন। তার জন্য তিনি ১৭ বার হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড ইঞ্জেক্ট করিয়েছেন শরীরে। হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আমাদের শরীরে তৈরি হয়। যা আমাদের ত্বকে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে কৃত্রিম ভাবে তৈরি হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করানো যায়
ব্রিটিশ সংবাদপত্র মিরর জানিয়েছে, বছর বাইশের অ্যান্ড্রিয়া নিজের ঠোঁটকেবড় বড় করে তুলতে হাইঅ্যালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করেছেন। আর এই কৃত্রিম ভাবে ঠোঁট বড় করার জন্য বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া-র চিকিত্সকদের কাছে বার বার ছুটে গিয়েছেন অ্যান্ড্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ১৭ বার চিকিত্সকের কাছে গিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সাল থেকে এই চিকিত্সা শুরু করান অ্যান্ড্রিয়া। চিকিত্সার জন্য গড়ে তাঁকে প্রতিবার ভারতীয় মুদ্রায় খরচ করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা। মিরর জানাচ্ছে, তাঁর কাঙ্খিত আকারের ঠোঁট পেতে অ্যান্ড্রিয়াকে এখনও বার কয়েক চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে।
অ্যান্ড্রিয়া মিররকে জানিয়েছেন, এখন তাঁর ঠোঁট তাঁর কাছে আগের থেকে অনেক বেশি প্রিয়। আর এই ঠোঁট পাওয়ার জন্য তিনি টাকার কথা ভাবে না, তিনি সঠিক জানেনও না ঠিক কত টাকা এই পর্যন্ত খরচ হয়েছে তাঁর এই সুন্দর সুন্দর ঠোঁট পেতে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের মাঝে এক জাহাজের ধাক্কায় চুরমার হয়ে যাচ্ছে অন্য জাহাজের একাংশ
তবে অ্যান্ড্রিয়ার এই ঠোঁট সবাই পছন্দ করেননি। অনেক নেটিজেনই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন ঠোঁটের জন্য।
এখন যেমন দেখতে অ্যান্ড্রিয়াকে:
A post shared by Andrea Ivanova (@andrea.andrea345) on