Viral

পাঁচ বার গুলি খেয়ে বেঁচে যাওয়া গরুকে সৌভাগ্যের আশায় রেখে দিলেন কৃষক

গুলি চালিয়ে মারার জন্য প্রথমে ২২ এমএম হ্যান্ডগান থেকে ফায়ার করেন। গুলি গরুটির মাথায় লাগলেও খুলি ভেদ করতে পারেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৪৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

যাকে মারতে চেয়েছিলেন সেই গরুকেই শেষে কিনা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে কাছে রেখে দিলেন। তাইল্যান্ডের এক উৎসবের অঙ্গ হিসেবে ওই গরুটিকে হত্যা করার জন্য গুলি চালান এক কৃষক। কিন্তু গুলি খেয়েও বেঁচে যায় গরুটি। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন গরুটিকে নিজের কাছে রেখে দেবেন।

Advertisement

সংবাদপত্র ডেলি মেল জানিয়েছে, দক্ষিণ তাইল্যান্ডে ট্রাংয়ের বাসিন্দা পেশায় কৃষক বছর তেতাল্লিশের সোমপর্ন নাজিন স্থানীয় উৎসবে হত্যা করার জন্য একটি গরু কেনেন। সেটিকে গুলি চালিয়ে মারার জন্য প্রথমে ২২ এমএম হ্যান্ডগান থেকে ফায়ার করেন। গুলি গরুটির মাথায় লাগলেও খুলি ভেদ করতে পারেনি। ফের দু’টি গুলি চালান। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি, ফলাফল সেই একই।

পর তিনটি গুলি মাথায় লাগার পরেও গরুটি মারা না যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন সোমপর্ন। তাঁর এক বন্ধুকে ডাকেন। দু’জনে মিলে ঠিক করেন, এবার শটগান দিয়ে গুলি করবেন। শটগানের গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে গরুটি। সোমপর্ন ও তাঁর বন্ধু ভাবেন শেষ পর্যন্ত তাঁরা সফল হয়েছেন, তাঁরা আনন্দ করতে থাকেন। কিন্তু একটু পরে ঘুরে দেখেন গরুটি আর সেখানে পড়ে নেই, পালিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউন শিকেয়, ষাঁড়ের শেষযাত্রায় কয়েকশো মানুষের জমায়েত!

এখানেই শেষ নয় অবাক হওয়ার এখনও বাকি ছিল সোমপর্নের। দিন কয়েক পর গরুটিকে যেখানে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন সেখানেই তাকে চরতে দেখেন। শরীরে বুলেটের ক্ষত নিয়েই দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেন কিছুই হয়নি তার।

আরও পড়ুন: রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে করোনার লড়াইয়ে সামিল, হাসপাতালে কাজ করছেন রাজকুমারী

তখনও চেষ্টা ছাড়তে রাজি নন সোমপর্ন। এবার তিনি পশুদের ঘুমপাড়ানি গুলি করেন, যাতে সেটিকে অজ্ঞান করে জবাইখানায় দিতে পারেন। সেই মতো ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। কিন্তু সেই গুলিও ভেদ করতে পারেনি গরুটির চামড়া।

সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সোমপর্ন ঠিক ভাবেন, বার বার গুলি খেয়েও যখন এই গরু বেঁচে গিয়েছে, তখন একে আর হত্যার চেষ্টা করবেন না। গরুটিকে তাঁর জমিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। এই গরুটিকে এখন তিনি সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করছেন।

সোমপর্নের গ্রামের প্রধান বলেন, ছোটবেলায় একটি অবধ্য গরুর কথা শুনে ছিলেন, যাকে কোনও ভাবেই মারা যায়নি। কিন্তু তেমন ঘটনা যে বাস্তবে সম্ভব তা এখন দেখে অবাক হচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement