Viral

মুদিখানায় ৭ হাজার টাকার জিনিসে দিতে হল ৯ লাখ, তাও লাভ হল ক্রেতারই

নিকের ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা কাটা গিয়েছিল সেই পুরো টাকাই ফেরত দেওয়া হয়েছে। এমনকি, জিনিসপত্রের দাম হিসেবে যে বিল হয়েছিল তাও তাঁকে আর দিতে হবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শিকাগো শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কিনতে গিয়েছিলেন কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কয়েক হাজার টাকার বিল হয়। দাম মিটিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় ন’ লাখ টাকা। আকাশ থেকে পড়েন। অ্যাকাউন্ট ডিটেলস চেক করে দেখেন, মুদিখানার দাম মেটাতে গিয়েই অ্যাকাউন্টের সব টাকা চলে গিয়েছে। এমনই এক ঘটনা সামনে এল আমেরিকার শিকাগোতে।

Advertisement

নিক ব্লানুশা নামে এক মার্কিন নাগরিক সম্প্রতি মুদিখানার কিছু জিনিসপত্র আনতে সাউথ লুপের একটি স্টোরে যান। অর্ডার করা জিনিসপত্রের দাম হয় ৯০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ছ’ হাজার ৮৫৩ টাকা)। কাউন্টারে থাকা কর্মীও দ্বিতীয় বার জানান বিল হয়েছে ৯০ ডলার। সেই মতো কার্ডে দাম মিটিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

বাড়িতে পৌঁছে নিক দেখেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১১ হাজার ৫৫২ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আট লাখ ৮০ হাজার টাকা)। দেখেন সেই টাকা কাটা হয়েছে মুদিখানার দোকান থেকেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তহবিল গড়তে লাফদড়ি হাতে নামলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধ

নিক ফের ছুটে যান ওই দোকানে, বিল দেখিয়ে সব বলেন। তাঁরাও দেখেন, সত্যিই ওই পরিমাণ টাকা কাটা হয়েছে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দোকানের ম্যানেজার এই গণ্ডগোল ঠিক করতে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের। সেই সঙ্গে নিককে জানানো হয়, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে টাকা ফিরে যাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে। কিন্তু নিক বলেন, সামনেই তাঁকে কয়েকটি বিল মেটাতে হবে। তার মধ্যে ফোনের বিল, পার্কিং-এর লিজের টাকাও রয়েছে। সেগুলি মেটাতে দেরি হলে সমস্যা। তাই তাঁর দ্রুত টাকা ফেরত চাই। এর পর বাড়ি ফিরে যান নিক।

আরও পড়ুন: ট্রুডোর চুল ঠিক করার স্টাইল দেখে প্রেমে পড়লেন নেটাগরিকরা​

ওই স্টোরের তরফে ফের নিককে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর হাতে আড়াইশো ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯ হাজার হাজার টাকা) তুলে দেওয়া হয় যাতে তাঁর আপাতত কোনও আর্থিক সমস্যা না হয়।

পরে ওই স্টোরের তরফে জানানো হয়, নিকের ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা কাটা গিয়েছিল সেই পুরো টাকাই ফেরত দেওয়া হয়েছে। এমনকি, জিনিসপত্রের দাম হিসেবে যে বিল হয়েছিল তাও তাঁকে আর দিতে হবে না। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়, এর মাঝে যদি তাঁর কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়, সেটাও মিটিয়ে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, আখেরে লাভই হল নিকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement