রাজকুমার উইলিয়ামের সঙ্গে বিনিশা উমাশঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
কয়লার উনুনে জামাকাপড় ইস্ত্রি— ভারতের অলিগলিতে এ দৃশ্য ভীষণই চেনা। যা থেকে ভয়াবহ দূষিত হচ্ছে বাতাস। এ ভাবে বায়ুদূষণ রুখতে একটি সৌরচালিত ইস্ত্রি-গাড়ি তৈরি করেছে ১৫ বছরের এক ভারতীয় স্কুলছাত্রী। নাম বিনিশা উমাশঙ্কর। যা ব্রিটিশ রাজকুমার উইলিয়ামের ঘোষিত ‘আর্থশট প্রাইজ়’-এর চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এ বারে গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত ছিল সে। রাষ্ট্রনেতাদের সামনে দৃপ্ত কণ্ঠে কিশোরী বলল, ‘‘পৃথিবীকে বাঁচাতে কিছু করতে হবে। আপনারা না এগোলে আমরাই লড়ব।’’
তামিলনাড়ুর মেয়ে বিনিশা। তার সঙ্গে আর্থশট প্রাইজ়ের চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন আর এক ভারতীয়, বিদ্যুৎ মোহন। দু’জনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। তবে বিনিশা বক্তৃতার সময়ে মোদী উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তত ক্ষণে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিনিশা বলেছে, ‘‘সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পৃথিবী। আমরাই (আর্থশট প্রাইজ় বিজয়ী ও ফাইনালিস্টরা) কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ। মানব সভ্যতার উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে নেতৃত্ব দেব আমরা।’’ সে আরও বলে, ‘‘আমরা কোনও অভিযোগ করতে চাই না। বরং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব, যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও সম্পদের পথ দেখাবে। সহজ নয়, কঠিন বলেই এই পথ বেছে নিয়েছি আমরা। এই চ্যালেঞ্জই আমাদের প্রজন্মকে তৈরি করবে।’’ তবে বিনিশার সাফ কথা, ‘‘আপনাদের জন্য আমরা অপেক্ষা করতে পারব না। আপনারা এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব না-দিলে আমরা দেব। আপনারা যদি অতীতে আটকে থাকেন, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করব।’’
প্রতি বছর ফসলের গোড়া পোড়ানোয় ভয়াবহ বায়ুদূষণ হয় উত্তর ভারতে। এই শস্যগোড়া না পুড়িয়ে কী ভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, তার উপায় বার করেছে বিদ্যুৎ মোহনের সংস্থা ‘টকাচার’। তাদের এই আবিষ্কার বিজয়ী হয়েছে। পুরস্কার মূল্য ১০ লক্ষ পাউন্ড গবেষণায় দারুণ সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ।