International News

প্রায় ৩০০ কুমিরকে পিটিয়ে মারলেন ইন্দোনেশিয়ার গ্রামবাসীরা

ইন্দোনেশিয়ার সোরোঙ্গ জেলার ওই গ্রামটিতে রয়েছে সরীসৃপ প্রজনন কেন্দ্র। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষিপ্ত জনতা ঢুকে পড়ে ওই প্রজনন কেন্দ্রে। হাতুড়ি, ছুরি আর মুগুর দিয়ে প্রায় ২৯২ টি কুমিরকে মেরে ফেলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ২০:৩২
Share:

খানিকটা রাগের বশেই হাতুড়ি, ছুরি আর মুগুর দিয়ে ২৯২ টি কুমিরকে মেরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। ছবি: রয়টার্স।

গৃহের পোষ্যদের জন্য ঘাসের খোঁজে বেরিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়ার এক ব্যক্তি। আর সেখানেই পড়ে গেলেন কুমিরের খপ্পরে। তাঁর চিৎকার শুনেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাজার চেষ্টার পরেও শেষমেশ বাঁচানো যায়নি ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তিকে।

Advertisement

ইন্দোনেশিয়ার সোরোঙ্গ জেলার ওই গ্রামটিতে রয়েছে সরীসৃপ প্রজনন কেন্দ্র। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষিপ্ত জনতা ঢুকে পড়ে ওই প্রজনন কেন্দ্রে। হাতুড়ি, ছুরি আর মুগুর দিয়ে প্রায় ২৯২ টি কুমিরকে মেরে ফেলেন।

ইন্দোনেশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিটির বয়স ৪৮ এর ঘরে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ঘাস সংগ্রহ করতে গিয়েই কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।’

Advertisement

আরও পড়ুন: খাঁচা ভেঙে হামলা জাগুয়ারের

ওই সরীসৃপ প্রজনন কেন্দ্রেরই এক কর্মী বাসার মানুল্লাঙ্গ বলেন, ‘‘আমাদেরই এক কর্মী ওই ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান ঘটনাস্থলে। আর দেখেন কুমিরের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ শনাক্ত করার পরই আমাদের ফার্মে ঢুকে কুমিরগুলোকে মেরে ফেলে।’’

ছবি: রয়টার্স।

বাসার মানুল্লাঙ্গের বক্তব্য, ২০১৩ সালে তাঁদের ফার্মকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। মূলত সল্ট ওয়াটার আর নিউ গিনির কুমিরদের সংরক্ষণ করা হয় এই প্রজনন কেন্দ্রে। তবে স্থানীয়দের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই শর্তেই মিলেছিল লাইসেন্স। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সে দিক খতিয়ে দেখা উচিত কর্তৃপক্ষের। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিৎ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement