জলহস্তির মুখে প্লাস্টিকের বোতল। ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ছবি।
চিড়িয়াখানা সাফারি পার্কে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই পশুপাখিদের খাবার দেন। পশুপাখিরাও বিষয়টিতে অভ্যস্ত। তবে কাউকে কখনও প্লাস্টিকের বোতল, টিস্যু পেপার খাওয়াতে দেখেছেন পশুপাখিদের? ভাইরাল হওয়া এমনই একটি ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতারের দাবি তুলছেন নেটাগরিকরা। পুলিশ ওই মহিলার পরিচয়ও বার করে ফেলেছে।
সিনটিয়া আয়ু নামে এক মহিলার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি পোস্ট হয়েছে। ভিডিয়োটি তামান সাফারি ইন্দোনেশিয়ায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাফারি পার্কে জলে ডোবা একটি নীচু রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছে একের পর এক গাড়ি। আর পাশের জলাশয়ে গা ডুবিয়ে বসে রয়েছে একটি জলহস্তি।
জলহস্তিটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সামনের গাড়ি থেকে প্লাস্টিকের একটি বোতল ওই জলহস্তির মুখে ফেলে দেন এক মহিলা। ক্যামেরায় পুরো ঘটনা ধরা না পড়লেও পোস্ট করে সে কথা জানিয়েছেন সিনটিয়া। তিনি লিখেছেন, প্লাস্টিক বোতল-সহ হাত গাড়ির বাইরে বের করতেই তিনি ওই মহিলাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি হর্ন বাজান। কিন্তু তাতেও এমন অমানবিক কাজ করা থেকে আটকানো সম্ভব হয়নি ওই মহিলাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি জলহস্তির মুখে প্লাস্টিকের বোতল এবং টিস্যু পেপার ফেলেই দেন।
সিনটিয়া পরে বিষয়টি সাফারি পার্কের আধিকারিকদের জানান। সাফারি পার্কের তরফে পরে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্লাস্টিকের বোতলটি গিলে ফেলেনি জলহস্তিটি। তার মুখ থেকে একটি টিস্যু পেপারও পাওয়া গিয়েছে।
ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ উগরে দেন নেটাগরিকরা। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সেখানে ভিডিয়ো থেকে পাওয়াগাড়ির নম্বর প্লেট ধরে অভিযুক্ত মহিলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম খাদিজা, তিনি পশ্চিম জাভার সিকালেঙ্কার বাসিন্দা। তাঁর দাবি, তিনি না জেনে এই কাজ করে ফেলেছেন। নিজের কাজের জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানিয়েছেন।
ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা না হলেও সাফারি পার্কের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইন্দোনেশিয়ার বোগোর পুলিশ।