ফাইল চিত্র।
রাস্তায় এক কৃষ্ণাঙ্গকে ফেলে চেপে ধরে আছে পুলিশ অফিসার। আর কৃষ্ণাঙ্গটি আর্ত চিৎকার করছে— ‘‘আর নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, দয়া করে ছেড়ে দিন আমাকে।’’ কর্ণপাত করছে না পুলিশ। ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে লোকটির কণ্ঠস্বর। তার পরে একেবারে নিশ্চুপ।
না, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নন, এই আর্তনাদ আর এক কৃষ্ণাঙ্গ, ৩৮ বছর বয়সি এডওয়ার্ড ব্রনস্টাইনের। জর্জ ফ্লয়েড-হত্যার দু’মাস আগে এক দল শ্বেতাঙ্গ পুলিশ মাটিতে চেপে ধরে, শ্বাসরোধ করে মেরেছিল এডওয়ার্ডকে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ১৬ মিনিটের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছে। তার পরেই ক্যালিফর্নিয়া হাইওয়ে প্যাট্রলের ৯ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে ব্রনস্টাইন পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০-র ৩১ মার্চ। আমেরিকার একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এডওয়ার্ড গাড়ি চালাচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাটিতে চেপে ধরে এক পুলিশ অফিসার। ‘নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন...আমি আপনাদের সঙ্গে সহযোগিতা করব’ এই বলে আর্তনাদ করতে থাকেন এডওয়ার্ড। কিন্তু সেই আর্তিতে কান দেয়নি পুলিশ অফিসার। উল্টে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য পুলিশ অফিসারদের ডেকে নেয় সে। আরও বেশ কয়েক জন অফিসার এসে এডওয়ার্ডের মাথা ও গলা ধরে তাঁকে সজোরে রাস্তায় ঠেসে ধরে। ‘নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলতে বলতে এক সময়ে চুপ হয়ে যান এডওয়ার্ড। ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে, অন্তত ১২ বার এই একই কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এডওয়ার্ড থেমে যাওয়ার পরে তাঁর উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাঁকে কথা বলানোর চেষ্টা করছে অফিসারেরা। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।
তাঁর বাবা কী ভাবে মারা গিয়েছিলেন তা জানার জন্য পুলিশের ভিডিয়ো প্রকাশ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন এডওয়ার্ডের মেয়ে, ২২ বছর বয়সি ব্রায়ানা পালোমিনা।