মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা বন্ধে মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তিকালীন সরকার এবং ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সচেষ্ট। তাই আমরা সরকার এবং ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।”
আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এই কাজে তাদের সহায়তা করা হবে।”
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনূস-সহ অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের ১৪ জন সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন ইউনূস। সরকারের বাকি ১৬ জন হলেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধানরঞ্জন রায়, খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ এবং ফারুকি আজম। তবে এঁদের মধ্যে সুপ্রদীপ, বিধানরঞ্জন এবং ফারুকি ঢাকায় না থাকায় বৃহস্পতিবার শপথ নিতে পারেননি। তাঁরা পরে শপথ নেবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নিয়ে ইউনূস বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশের সংবিধানকে সমর্থন এবং রক্ষা করব। নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করব।’’
ইউনূস দীর্ঘ দিন বাংলাদেশে ছিলেন না। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর তিন প্রধান এবং ছাত্রনেতাদের বৈঠকে তাঁকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ইউনূস এই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তিনি সব সব পক্ষকে শান্তি রক্ষার জন্য বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, দেশে অশান্তি চললে তিনি পদত্যাগ করবেন। রাতেই তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার শপথ নেয় বাংলাদেশে।