প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে নিবৃত্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (আরও কয়েক জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে), এই মর্মে আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে কূটনৈতিক বৈঠকখানায় এখনও আলোচনা চলছে। তারই মাঝে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন আমেরিকার এক কংগ্রেস সদস্য— রিচ ম্যাককরমিক। ভারতে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে তাঁর বক্তব্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটছে দ্রুত। অচিরেই তা চিন এমনকি আমেরিকার সঙ্গেও পাল্লা দেবে।
আমেরিকার এই ধারাবাহিক প্রশংসা সরাসরি ঘরোয়া ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় রাজনৈতিক মহল। কিন্তু মোদীর ‘বিশ্বগুরু’ ভাবমূর্তিতে আমেরিকার সিলমোহর নিঃসন্দেহে সমাজের একটা অংশের কাছে ইতিবাচক ইঙ্গিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস-সদস্যের বক্তব্য, “আমার ধারণা, ভারত দৌড় শুরু করেছে। চিনের সঙ্গে অচিরেই তারা প্রতিযোগিতায় নামবে এবং ক্রমশ আমেরিকার সঙ্গেও।” এখানেই না থেমে তাঁর মন্তব্য. “ভারত রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ফলে ভারতের হাতে ওদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। শুধু দেখতে হবে, ঠিক ভাবে যেন এই প্রভাব খাটানো হয় এবং তাতে যেন সবার স্বার্থ রক্ষিত হয়।”
গত বছর উজ়বেকিস্তানে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী, প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি বসে বলেছিলেন, ‘এই কালখণ্ড যুদ্ধের নয়।’ তাঁর এই কথা, নয়াদিল্লির জি২০ বিবৃতিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এটা ঘটনা যে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষির ক্ষেত্রে ভারত একটি বড় তাস, পশ্চিমের কাছে। কারণ, ভারতের বিশাল বাজার, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে অত্যন্ত লোভনীয় মস্কোর কাছে। বিশেষত আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পর। তাই লোকসভা ভোটের আগে এই নিয়ে পশ্চিমের সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।