এর আগে কংগ্রেসে প্রস্তাবিত বিলে আট বার ভিটো দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিবারেই সেই বিল আটকে গিয়েছে। এখন ট্রাম্পের দিন গিয়াছে। নির্বাচনে পরাজয় তিনি নিজে না-মানলেও দেশবাসী ও প্রশাসন মেনে নিয়েছে। এ বার তাই ‘পরাজিত’ প্রেসিডেন্টের ভিটো অগ্রাহ্য করে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) পাশ করিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সদস্যরা। এই বিলের অংশ হিসেবেই পাশ হয়ে গেল চিনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আনা প্রস্তাব— লাদাখে ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা ফিরিয়ে নাও, আগ্রাসন বন্ধ কর।
প্রেসিডেন্টের ভিটো অগ্রাহ্য করে আইন পাশ করাতে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিলটিকে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ করানো প্রয়োজন। বিরোধী ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউজ় অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভ-এ ৭৪ হাজার কোটি ডলারের এই প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল শুক্রবার আলোচনার পরে পর্যাপ্ত গরিষ্ঠতা নিয়েই পাশ হয়। কৌতূহল ছিল, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সেনেটের সদস্যরা কী সিদ্ধান্ত নেন তা নিয়ে। কারণ ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দ্বিদলীয় ভাবে বিলটি পেশ হলেও আমেরিকার নিরাপত্তার পক্ষে এটি ক্ষতিকর হবে বলে তাঁর বিশ্বাস। তাই তিনি বিলে ভিটো দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সেনেটে ৮১-১৩ ভোটে পাশ হয়ে যায় প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বিল।
বস্তুত এই বিলটি আটকাতে মরিয়া ছিলেন ট্রাম্প। নিজের দলের নেতাদের কাছেও বিলটি না-পাশ করানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথে প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ হবে ট্রাম্পের। অনেকের ধারণা ছিল, তাঁর মুখ রাখতেই হয়তো সেনেটে বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন রিপাবলিকান সদস্যরা। কিন্তু অধিবেশন শুরুর পরে সেনেটের রিপাবলিকান নেতা জানিয়ে দেন, আমেরিকান সেনাদের স্বার্থেই এই বিলটি পাশ করানো প্রয়োজন বলে মনে করেছেন তাঁরা।
এই বিলেরই অংশ ছিল কংগ্রেস সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তির সংযোজন, যাতে লাদাখে আগ্রাসন বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে চিনের প্রতি। এনডিএএ পাশ হওয়ায় সেটিও পাশ হল।