আমেরিকা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি সৌজন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
টানা সফর শেষে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে আমেরিকায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অ্যান্ড্রুজ জয়েন্ট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তাঁর বিমান অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রশাসনিক কর্তা এবং সে দেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু।
২০১৪-তে ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে সাত বার আমেরিকা সফর মোদীর। তবে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হতে চলেছে তাঁর। আমেরিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে মোদীর একটা আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে আমেরিকার প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও হাজির ছিলেন শতাধিক ভারতীয়। ওয়াশিংটনে পা রেখেই মোদী টুইট করেন, ‘ওয়াশিংটনের ভারতীয়দের সাদর অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
তিন দিনের এই আমেরিকা সফরে মোদী কোয়াড শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন। ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদেও। তা ছাড়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে তাঁর।
অ্যান্ড্রুজ জয়েন্ট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোদীকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি বৈঠক হতে চালেছে। বাইডেন ছাড়াও কোয়াড শীর্ষ বৈঠকে জাপান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদী। চলতি বছরে মার্চে ‘কোয়াড’ গঠন হওয়ার পর ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়েছিল চার দেশের। এই প্রথম সরাসরি বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া।
এই বৈঠকে আফগানিস্তান, সীমান্ত সন্ত্রাস, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, জলবায়ু এবং নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে বাইডেন সেনা সরানোর পরই যে ভাবে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে এবং তালিবান সরকারের গতিপ্রকৃতিও আলোচনায় উঠে আসতে পারে। অন্য দিকে, তালিবান শাসন যে নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়াচ্ছে সেই বিষয়টিও এই বৈঠকে তুলে ধরতে পারেন মোদী। এমনই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
অন্য দিকে, শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভাষণ দেবেন মোদী। সেখানেও সীমান্ত সন্ত্রাস, কোভিড পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।