জঙ্গিদমনে পাকিস্তান উদ্যোগী হলে মধ্যস্থতায় রাজি ওয়াশিংটন। ফাইল চিত্র
কাশ্মীর বিষয়ে ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত ডোনাল্ড ট্রাম্প।তবে তার আগে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং স্থায়ী পদক্ষেপ করতে হবে। বৃহস্পতিবার ফের এমনটাই জানালেন মার্কিন বিদেশ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
দীর্ঘদিন ধরে ভারত বলে আসছে সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা পাশাপাশি চলতে পারে না। সেই মনোভাবকে গুরুত্ব দিয়েই ওই আধিকারিক বলেন, আলোচনার জন্য সদর্থক পরিবেশ তৈরি করা এক্ষেত্রে জরুরি।সে ক্ষেত্রেপ্রথমে জঙ্গিবাদ দমনে পদক্ষেপ করতে হবে ইসলামাবাদকে।যদিও কাশ্মীর প্রশ্নে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতার যে সুযোগ নেই, তা ভারত বরাবরাই বলে এসেছে। এদিন ওই আধিকারিক সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তার কথায়, ‘‘ভারত-পাকিস্তান চাইলে নিশ্চিত ভাবে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারত প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না।’’
কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বারবারই নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সে ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে শান্তিচুক্তি স্থাপনেও তিনি উদ্যোগী হতে পারেন বলে জানাচ্ছে ওয়াশিংটন। এদিন সাংবাদিকদের ওই প্রশাসনিক কর্তা বলেন, তবে শান্তিস্থাপনে মতবিনিময়ে দুই দেশ রাজি হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টও সদর্থক ভূমিকা নিতে উদ্যোগী হবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য পাকিস্তানকে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে বন্ধ করতে হবে।
সম্প্রতি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসদমনের বিষয়ে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-ও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তা সম্ভব না হলে এই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্যারিসে আয়োজিত পাঁচ দিনের অধিবেশনে।
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রে কমল আসন, হরিয়ানায় ধাক্কা আরও বড়, বিজেপির ফলাফলে অক্সিজেন বিরোধী শিবিরে
আরও পড়ুন:৫৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করে, আদিত্য ঠাকরের জন্য কুর্সির আধখানা চাইছেন উদ্ধব
এদিন আধিকারিকের মুখে ছিল কাতারাপুর মৌ চুক্তির প্রশংসাও। বৃহস্পতিবারই করতারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে গুরুদ্বার দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্তের শুরু হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের নরওল জেলার দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যেতে পারবেন ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা। এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক এবং তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এমন ছোট ছোট পদক্ষেপই দুই দেশকে মুখোমুখি বসতে সাহায্য করবে, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আনবে।’’