—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মৌখিকভাবে আগেই ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিল ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ আমেরিকা। এ বার সরাসরি সে দেশকে সমর্থন জোগাতে রণতরী এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা ঘোষণা করল জো বাইডেনের দেশ। রবিবার আমেরিকার তরফে জানানো হয়, প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ গিয়েছে সে দেশের বহু নাগরিকের। তবে ঠিক কত জন আমেরিকান হতাহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার পরই পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন রবিবারই ইজ়রায়েলে রণতরী এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমেরিকার অংশগ্রহণের ফলে ইজ়রায়েল বনাম হামাসের লড়াই আরও ব্যাপকতা পেতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছুঁয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পেন্টাগনের তরফে রবিবার জানানো হয়েছে, তারা জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের একটি যুদ্ধবিমান এবং রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে। এর ফলে হামাসের অতর্কিত আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা ইজ়রায়েলের বাড়বে বলে মনে করছে আমেরিকা। রবিবারই ইজ়রায়েলের প্রেসি়ডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা খাতে আনুষঙ্গিক সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন ইহুদি-প্রধান দেশটিকে। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “ইজ়রায়েলের কোনও শত্রু যেন এমনটা মনে না করে যে, তারা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারবে।” এই বিবৃতিতে পরোক্ষে হামাসকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবারই জানিয়েছেন, অন্তত এক হাজার জন হামাস জঙ্গি ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। তবে তাদের বেশিরভাগকে পাল্টা হামলায় মারা হয়েছে কিংবা গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। রবিবার হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেছে ইজ়রায়েল।
শুক্রবার গভীর রাত থেকেই আকাশ, জল এবং স্থল— এই তিন পথেই ইজ়রায়েলে হামলা চালায় হামাস। পাল্টা জবাব দেয় ইজ়রায়েলি সেনাও। ইজ়রায়েলি সেনা সূত্রে খবর, ২২টি জায়গায় হামাস জঙ্গিদের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই চলছে। ইজ়রায়েলি সেনার মেজর জেনারেল ঘাসান আলিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামাসদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।