বন্ধ দূতাবাস খুলল আমেরিকা। —ফাইল ছবি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলাল জো বাইডেনের সরকার। রুশ বিমানহানার আশঙ্কায় বুধবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আমেরিকার দূতাবাস সাময়িক ভাবে বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। রাতেই সেই দূতাবাস আবার খুলে দেওয়া হল।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের কনসুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগ বুধবার বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ থেকে সাময়িক ভাবে কিভের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।’’ কিন্তু ইউক্রেনে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক রাতে এক্স পোস্টে লেখেন, ‘‘আমরা আবার পরিষেবা চালু করেছি।’’
শীতের তুষারপাত শুরুর আগে মরিয়া রুশ ফৌজ ইউক্রেনে আক্রমণের অভিঘাত বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা পশ্চিমি দুনিয়ার। আমেরিকার বিদেশ দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছিল, গোয়েন্দা সূত্র মারফত কিভে রুশ বিমানহানার প্রস্তুতির কথা জানতে পারার পরেই বুধবার সকালে সাময়িক ভাবে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০তম দিন। সে দিন সকালে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সেনা আমেরিকার ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করে।
তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দেয় মস্কো। এমনকি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সামরিক বিধি সংশোধন করেছেন বলেও সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের আগে বিদায়ী ‘লেম ডাক’ সরকারের প্রধান বাইডেন ইউক্রেনের জন্য যে শেষ দফার সমর সম্ভার বরাদ্দ করেছিলেন তার মধ্যেই ছিল ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস। কার্যত, পেন্টাগনের নীতি থেকে সরে মূল রুশ ভূখণ্ডে ওই অস্ত্রে হামলা চালানোর জন্য জ়েলেনস্কি সরকারকে অনুমতি দেন বাইডেন।
এর জেরে ওয়াশিংটনের তীব্র সমালোচনা করেছিল পুতিন সরকার। আর তার পরেই দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। বন্ধ দূতাবাস খোলার পাশাপাশি আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ব্রিঙ্ক বলেছেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রয়োজন পড়লেই দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।’’