US Election Results 2020

নিকি নীরব কেন, কটাক্ষ ট্রাম্প-পুত্রের

সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের অন্যতম মুখ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি। ছবি এএফপি।

গণনা শুরুর পর থেকেই কারচুপির অভিযোগ তুলে আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির। আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ভোট গণনা বন্ধের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন রিপাবলিকান সমর্থকেরা। কিন্তু গণনা প্রক্রিয়ায় কারচুপির বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালির নীরবতাকে মোটেও ভাল চোখে নিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট-পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।

Advertisement

গত কাল টুইটারে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে নাম না করে নিকিকে একহাত নিয়েছেন ট্রাম্প জুনিয়র। সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের অন্যতম মুখ। কিন্তু সেই নিকিই কেন ভোট গণনায় কারচুপি নিয়ে বাকি রিপাবলিকান নেতা-নেত্রীদের মতো সরব নন, কেন তিনি ডেমোক্র্যাট শিবিরকে সে ভাবে আক্রমণ করছেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প-পুত্র। কেউ এক জন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, রিপাবলিকানদের ভবিষ্যৎ কী এবং গণনায় কারচুপি নিয়ে নিকি এখন ঠিক কী করছেন। তাঁর জবাবেই জুনিয়র ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আসলে সবাই এখন দেখছেন, কে কী করছেন। কে এই কারচুপির বিরুদ্ধে আসল লড়াইটা লড়ছেন আর কে পাশে বসে চুপচাপ সব দেখছেন। রিপাবলিকানরা কয়েক দশক ধরে এ বিষয়ে দুর্বল। তাই তো বামপন্থীরা এতটা বাড়াবাড়ির সুযোগ পেয়ে যান। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ এর পরে একের পর এক টুইট করেন ট্রাম্প জুনিয়র। লেখেন, ‘‘২০২৪ সালের পদপ্রার্থীদের এই নিষ্ক্রিয়তা সত্যিই অদ্ভূত। এটাই তো আসল সময় ছিল প্রমাণ করার যে তাঁরা ঠিক কতটা লড়াই করতে পারেন।’’

বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে পিছিয়ে থাকার পরে ট্রাম্প বলছিলেন, ‘‘আমেরিকার মানুষের প্রতি জালিয়াতি হচ্ছে। গোটা দেশ এতে বিব্রত। আমরা এই ভোটে জিততে চলেছি। জিতে গিয়েছি কার্যত। দেশের প্রতি অবিচার হচ্ছে। আমরা আদালতে যাব।’’ নিকিও অবশ্য ট্রাম্প-পুত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ট্যাগ করেই তিনি লিখেছেন, ‘‘সেনেট, হাউসে কনজ়ারভেটিভদের জয়ের জন্য আমরা সকলে ট্রাম্পের নেতৃত্বের কাছে ঋণী। স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকার মানুষের অধিকার। আইন মানতেই হবে। আমাদেরও আইনে বিশ্বাস রাখতে হবে এবং আমি মনে করি, সত্যিটা ঠিক সামনে আসবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement