ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ফের উল্টো সুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের। টুইট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি হার মানেননি। মানছেনও না। প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের তাঁর মন্তব্য, “ভুয়ো সংবাদমাধ্যমের চোখে বাইডেন জয়ী। হার-জিত নিয়ে কোনও কিছুই স্বীকার করিনি। এখনও দীর্ঘ লড়াই বাকি। এই নির্বাচনে রিগিং হয়েছে।” এর পরই জোরের সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাই এই নির্বাচন জিতব।’
বাইডেন ‘জয়ী’— রবিবার জনসমক্ষে প্রথম বার স্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনে তাঁর ভোট রিগিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছিল, তাও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের টুইট করে তিনি জানিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি তিনি। এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, যে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন, তার শেষ দেখে তবেই ক্ষান্ত হবেন তিনি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। এক দিকে ট্রাম্প, অন্য দিকে বাইডেন। প্রথম থেকেই পাল্লা ভারী ছিল বাইডেনের। শেষে বাজিমাত করেছেন তিনিই। কিন্তু এই নির্বাচনের ফল নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকদের। একের পর শক্ত ঘাঁটিগুলো হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সমস্ত সংবাদমাধ্যম যখন বাইডেনের জয় ঘোষণা করে দিয়েছে, তখনও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এগুলো সব মিথ্যা।
তার পরেও থেমে থাকেননি ট্রাম্প। অভিযোগ তুলেছিলেন, ভোটে রিগিং করা হয়েছে। বাইডেন নির্বাচনে জিতেছেন ভোটে রিগিং করে। এর পরই তিনি আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দেন। গণনায় কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যেই আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে কয়েকটি মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প। তাঁর সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ পথে নামেন।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১,৬৮,৩৭৩, ফের অর্থনীতি নিম্নমুখী
ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট। যদিও এখনও সরকারি ভাবে চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হয়নি। ইলেক্টোরাল কলেজের ৫৩৮ ভোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘ম্যাজিক ফিগার’ ২৭০ আগেই ছুঁয়ে ফেলায় জয়ী ঘোষিত হন বাইডেন।