সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সু চি সমর্থকদের বিক্ষোভ। ছবি— রয়টার্স।
মায়ানমার নিয়ে সুর চড়াল আমেরিকা। কড়া বার্তা রাষ্ট্রপুঞ্জ, ব্রিটেনেরও।
সোমবার সেনার হাতে আটক হন মায়ানমারের নেত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর (প্রধানমন্ত্রী পদের সমান) আউং সান সু চি। আটক করা হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও। এর পরই কড়া বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। মঙ্গলবার আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও একধাপ সুর চড়িয়ে বললেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাঁর প্রশাসন মায়ানমারের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করে এক বিবৃতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনতার ইচ্ছার যে প্রকাশ ঘটেছে, জোর করে তার উপর বাহিনীর শক্তিপ্রদর্শন করা উচিত নয়'। মায়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর অনেক নিষেধাজ্ঞাই ধীরে ধীরে তুলে নিয়েছিল আমেরিকা। সেনা অভ্যুত্থানের পর সেই নিষেধাজ্ঞা ফের চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতির বদল চেয়ে বাইডেনের সতর্কবার্তা, ‘‘গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ হলেই, পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং ব্রিটেনের তরফেও এই অভ্যুত্থানের নিন্দা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, এই অভ্যুত্থান নিয়ে জরুরিকালীন বৈঠকে বসবে নিরাপত্তা পরিষদ। মায়ানমারের এই অভ্যুত্থানকে ‘গণতন্ত্রের উপর মারাত্মক আঘাত’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও অভ্যুত্থানের কড়া নিন্দার পাশাপাশি সু চি-র আটককে ‘বেআইনি’ বলেছেন। এমনকি চিন যে এত দিন মায়ানমানের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করে আসত, তারাও এই ‘সমাস্যার সমাধানে’ সকল দেশকে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছে। তবে তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ফিলিপিন্সের মতো মায়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলি বিষয়টিকে ওই দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা বলে এড়িয়ে গিয়েছে।
এই অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেখা যায়নি সু চি-কে। তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র সরকারি মুখপাত্র কিতো-র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ‘‘ভাল আছেন ‘তিনি’। নিজের বাড়ির চৌহদ্দিতে হাঁটছেনও।’’