International News

আমেরিকা আক্রান্ত হলে ৫২ জায়গায় কঠোর হামলা হবে, ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

যে কোনও সময় আরও বড় হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেই হোয়াইট হাউস মনে করছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ১১:০৭
Share:

কাসেম সোলেমানি (বাঁ দিকে) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র

কাসেম সোলেমানির হত্যার ‘বদলা’ কী ভাবে নিতে পারে ইরান, তা নিয়ে কার্যত অন্ধকারে আমেরিকা। কিন্তু তেহরানের তেমন কোনও পরিকল্পনা থাকলে তার ফল যে ভাল হবে না, তা জানিয়ে আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল হোয়াইট হাউস। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, কোনও মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা হলে, আমেরিকা ইরানের আরও ৫২টি জায়গায় আক্রমণ করার জন্য চিহ্নিত করে রেখেছে। ‘খুব দ্রুত এবং খুব বড়’ আঘাত হানা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই হুমকির জেরে ফের উত্তেজনা বেড়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বাগদাদ বিমাবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি। তার পর থেকেই কার্যত ফুঁসছে ইরান। যে কোনও সময় প্রত্যাঘাত আসতে পারে বলে মনে করছে আমেরিকাও। আর সেই পাল্টা আঘাত হতে পারে ইরাকে মার্কিন সেনা বা ইরান-মার্কিন যৌথ বাহিনীর উপর। কিন্তু কোথায় হামলা হতে পারে, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য আপাতত হোয়াইট হাউসের হাতে নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই অন্তত দু’জায়গায় হামলার খবরও মিলেছে। শনিবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে দু’রাউন্ড মর্টার বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রায় একই সময়ে ইরাকে আল-বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও দু’টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে খবর। এই ঘাঁটিতে ইরাকি ও মার্কিন যৌথ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তবে দুই হামলার কোনওটিতেই কেউ হতাহত হননি। যে কোনও সময় ইরান আরও বড় হামলা চালাতে পারে আশঙ্কা মনে করছে হোয়াইট হাউস।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ইরানের ৫২টি জায়গা (কয়েক বছর আগে ৫২ জন আমেরিকানকে পণবন্দি করার প্রতীক হিসেবে) চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরান ও তার সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সব লক্ষ্যবস্তুতে খুব দ্রুত এবং খুব কঠোর আঘাত করা হবে। আমেরিকা আর কোনও হুমকি সহ্য করবে না।’’

কয়েক বছর আগে ইরানে মার্কিন দূতাবাসে ৫২ জনকে পণবন্দি করার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ৫২ জনের বদলে ৫২টি জায়গায় হামলার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, সংখ্যাটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। আসলে ইরান বদলা নেওয়ার কথা ভাবলে আমেরিকা যে আরও হামলা চালাতে পারে, সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে কার্যত ইরানকে দমিয়ে রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement