হাসপাতালে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে উঠছেন ট্রাম্প। ছবি—রয়টার্স।
মেলানিয়া ও তাঁর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য ট্রাম্পকে মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোভিডের মৃদু উপসর্গ থাকার জন্যই চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তবে এক ভিডিয়ো বার্তায় নিজের ‘ভাল’ থাকার কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেলি ম্যাকেনানি বলেছেন, ‘‘সাবধানতা অবলম্বন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে বেথেসদার ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারের স্পেশ্যাল সুইটে রাখা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। আগামী কয়েক দিন সেখানেই থাকবেন তিনি। ওয়াল্টার রিডের প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস থেকেই নিজের কাজ কর্ম করবেন তিনি।’’ শুক্রবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউস থেকে মাস্ক পরে বেরিয়ে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি।
আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্পের মধ্যে কোভিড-১৯-এর মৃদু উপসর্গ রয়েছে। পাশাপাশি ট্রাম্পের বয়স ৭৪। ওজনও অনেকটা বেশি। সে জন্যই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃদু উপসর্গ থাকলেও তাঁর অবস্থার কোনও রকম অবনতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক সিন পি কনলে ট্রাম্পের ব্যাপারে বলেন, ‘‘তিনি একটু ক্নান্ত হলেও খোশমেজাজেই রয়েছেন।’’
ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে কোভিড-এর পরীক্ষামূলক ওষুধের ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। রেগেনেরস অ্যান্টিবডি ককটেলের সিঙ্গল ডোজ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কনলে। এই ওষুধের এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বাজারে আসার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র এখনও পায়নি রেগেনেরস।
শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সুস্থ আছি।’’ মেলানিয়াও সুস্থ আছেন বলে ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন ট্রাম্প। দেখুন সেই ভিডিয়ো—
এক মাস পরেই ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি। যার জেরে প্রচারপর্ব কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প শিবিরও। আগামী দিনে ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি জনসভা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। কিছু জনসভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প শিবির।