হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
বিদেশি সাংবাদিক ও মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের জন্য কাশ্মীরে অবাধ গতিবিধির ছাড়পত্র চেয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে চিঠি লিখলেন ৬ জন মার্কিন ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, আমেরিকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গত ১৬ অক্টোবরের বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের যা জানিয়েছিলেন, প্রকৃত চিত্রটি তেমন নয় বলেই নিজেদের কেন্দ্রের ভোটদাতাদের একাংশের থেকে জেনেছেন তাঁরা। সেই কারণেই এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা দরকার।
গত বৃহস্পতিবারেই মার্কিন বিদেশ দফতরের কার্যনির্বাহী সহ-সচিব অ্যালিস জি ওয়েলসের রিপোর্টে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। উপত্যকায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর দিগ্নির্দেশও চাওয়া হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। সেই দিনই শ্রিংলাকে চিঠিটি লিখেছেন মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য ডেভিড এন সিসালিনি, ডিনা টাইটাস, ক্রিসি হুলাহ্যান, অ্যান্ডি লেভিন, সুজ়ান ওয়াইল্ড এবং জেমস পি ম্যাকগভর্ন।
চিঠিতে শ্রিংলাকে অনেকগুলি প্রশ্ন করেছেন তাঁরা। যেমন— উপত্যকায় ল্যান্ডলাইন সংযোগ পুরোপুরি ফিরেছে কি না। না-ফিরলে কত বাকি আছে? প্রিপেড-সহ সমস্ত মোবাইল কবে থেকে কাজ করবে? সবাই ইন্টারনেট সংযোগ কবে থেকে পাবেন? গত ৫ অগস্ট থেকে জন নিরাপত্তা আইন-সহ অন্যান্য আইনে কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে কত জন নাবালক? জন নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের বিচারের পদ্ধতি কী? কার্ফুর অবস্থা কী এবং কবে থেকে উপত্যকাবাসী স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারবেন? বিদেশি সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? কবে সেই বাধা উঠবে? এবং মার্কিন কংগ্রেস সদস্য-সহ অন্য বিদেশি কর্তাদের কবে থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হবে?
হাউসের এই সদস্যেরা জানিয়েছেন, তাঁদের কেন্দ্রের অনেক ভোটদাতা কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ, ইন্টারনেট ও টেলি-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীদের গ্রেফতারি এবং কার্ফু নিয়ে চিন্তিত। চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘গোটা বিষয়টিতে তখনই স্বচ্ছতা আসবে, যখন সাংবাদিক ও কংগ্রেস সদস্যদের ওই এলাকায় অবাধ গতিবিধির ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আমরা ভারতকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও অন্য বিদেশিদের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের দরজা খুলে দিক।’’