ফাইল চিত্র।
‘সীমান্ত বন্ধ’— আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্টের অভিবাসন নীতি ঘিরে বাড়তে থাকা ক্ষোভে গত কাল এ ভাবেই লাগাম পরাতে চাইলেন দেশের হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতরের সচিব আলোহান্দ্রো মায়োরকাস।
আমেরিকায় দিন দিন বাড়ছে সীমান্ত পেরিয়ে আসা পরিযায়ীদের সংখ্যা। যার মোকাবিলা করাই বর্তমানে জো বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সরাসরি প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে সমালোচকদের অভিযোগ, ‘‘আদতে অভিবাসন নীতিটাই পুরোপুরি তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে এই প্রশাসন।’’ যদিও প্রশাসনিক কর্তারা তুলে ধরেছেন অন্য ছবি। ইতিমধ্যেই পনেরো হাজার পরিযায়ী শিশু-কিশোর সরকারের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের জন্য এখনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা যায়নি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি জায়গাতেই আপাতত রাখতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখনই আরও পরিযায়ীদের দেশে জায়গা করে দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছে হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতর।
যাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় আসার পরিকল্পনা করছেন, সেই সব মানুষের কাছে মায়োরকাসের আবেদন, ‘‘এখন ঠিক সময় নয়। আসবেন না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে সব শিশু বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছে, আপাতত তাদের জন্য মানবিক, সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় মন দিয়েছি আমরা।’’ যার রেশ টেনেই তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সীমান্ত এখন বন্ধ।’’
একই বার্তা প্রেসিডেন্টেরও। সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় ঢোকার পরিকল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের উদ্দেশে বাইডেনের সরাসরি আর্জি, ‘‘এখন বাড়িতেই থাকুন আপনারা।’’ নিজে সীমান্তে গিয়ে এই বার্তার প্রচারে শামিল হবেন বলেও কাল জানান বাইডেন। একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ‘‘আমাদের পক্ষে যা যা সম্ভব আমরা করছি।’’ সেই সঙ্গেই বাইডেনের দাবি, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা এই সংক্রান্ত কয়েকটি কঠিন নীতি রদ নিয়ে পর্যালোচনা চালাচ্ছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে জানান, অভিভাবকহীন পরিযায়ী শিশুদের দেশে ঢুকতে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প যেটা কখনই করেননি।
তবে প্রেসিডেন্ট যাই-ই বলুন, পরিযায়ী সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রিপাবলিকানরা। গলা মিলিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের একাংশও! পাল্টা হিসেবেই একাধিক টিভি সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন মায়োরকাস। তাঁর কথায়, ‘‘যথা সম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে ট্রাম্প সরকার সংশ্লিষ্ট নীতি ঘিরে যে পরিমাণ জট পাকিয়ে গিয়েছে, তাতেই বাড়ছে সমস্যা। চাপ বাড়িয়েছে অতিমারি পরিস্থিতিও।’’