ধীরে ধীরে বিমান পরিষেবা চালু হতে শুরু করেছে আমেরিকায়। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকার পর আবার ধীরে ধীরে বিমান পরিষেবা চালু হতে শুরু করেছে আমেরিকায়। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার ‘ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফএএ)।
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশ জুড়ে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমান পরিষেবা। সমস্ত বিমানচালক এবং বিমানকর্মীদের ওই ত্রুটি সম্পর্কে অবহিত করে নামিয়ে আনা হয় মাঝ আকাশে থাকা বিমানগুলিকে। টুইটারে এফএএ লেখে, ‘‘বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে চলছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশ জুড়ে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে খবর জানানো হবে।’’
মেরামতির কাজ চলাকালীন এফএএ জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হওয়া শুরু করবে। সেই মতোই পরিষেবা চালু করা গিয়েছে বলে এফএএ সূত্রে খবর। তবে ঠিক কী কারণে প্রযুক্তিগত গোলযোগ দেখা দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভ্রাটের জেরে ৪,৬০০টির বেশি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান দেরিতে চলছে। বাতিল হয়েছে ৮০০টি বিমান। তবে নির্ধারিত সময় মেনে দেশের কয়েকটি জায়গায় বিমান পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে— নেওয়ার্ক এবং আটলান্টা বিমানবন্দর। তবে এখনও অধিকাংশ জায়গায় যাত্রী পরিষেবা বন্ধই রয়েছে। যার জেরে বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ অব্যাহত। বহু যাত্রীই সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন। বস্টনের লোগান বিমানবন্দরের তিন ঘণ্টা বসে থেকে এক যাত্রী টুইটারে লেখেন, ‘‘স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় বিমান ছাড়ার কথা ছিল। অভ্যাসবশত কয়েক ঘণ্টা আগেও বিমানবন্দরে চলে এসেছিলাম। এখন ৩ ঘণ্টা ঘরে বসে আছি!’’
বিমান পরিষেবায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই আমেরিকায় সাইবার হানা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিমান বিভ্রাটের পিছনে সাইবার হানা নেই। তবে ইতিমধ্যেই যাত্রী পরিবহণ দফতরকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।