ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আন্দোলন’ করার জন্য কয়েকশো পড়ুয়ার এফ-১ ভিসা খারিজ করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এঁদের ‘রাষ্ট্রদোহী’ তকমা দিয়ে এই মর্মে শ’তিনেক বিদেশি পড়ুয়াকে ইমেল পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন দ্রুত স্বেচ্ছায় আমেরিকা ছেড়ে চলে যান। তাঁদের মধ্যে কত জন ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্ক রুবিয়ো বলেন, “বিদেশি পড়ুয়ারা কী করছেন, সে দিকে আমরা প্রতিদিন কড়া নজর রাখি। তিনশোরও বেশি এ ধরনের পাগল রয়েছেন। আমি তাঁদের ভিসা কেড়ে নেব। প্রতিটা দেশেরই ঠিক করার অধিকার আছে যে, কে সে দেশে থাকবেন, কে নয়।” রুবিয়ো আরও জানান, যে শ’তিনেক ভিসা তিনি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে খারিজ করেছেন তার মধ্যে বেশির ভাগ পড়ুয়া ভিসা হলেও কয়েকটি স্বল্পমেয়াদের বিজ়নেস ও পর্যটক ভিসাও রয়েছে। রুবিয়োর কথায়, “আশা করি যে ভাবে এই সব পাগলকে আমরা তাড়িয়ে দিতে পারছি, তাতে কিছু দিনের মধ্যে এ ধরনের মানুষ আমাদের দেশে আর থাকবে না। তা-ও আমরা কড়া নজর রেখে চলেছি।”
পড়ুয়াদের পাঠানো ইমেলে বলা হয়েছে, ‘আপনার ভিসা দেওয়ার পরে আমাদের হাতে নতুন কিছু তথ্য এসেছে। যার ভিত্তিতে আপনার ভিসার মেয়াদ অমুক তারিখে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে আপনি এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমাদের তরফ থেকে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এ কথা জানানো হচ্ছে।’ একই সঙ্গে হুমকির স্বরে বলা হয়েছে, ‘ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যদি আপনি বেআইনি ভাবে এ দেশে থাকেন, তা হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে আপনার আমেরিকার কোনও ভিসা আবেদন করার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
আমেরিকার বিদেশ দফতর সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এমন সব পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছে, যাঁরা হামাস বা অন্য কোনও আমেরিকার দাগিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সমর্থনে কোনও কথা বলেছে বা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। শুধু সশরীর আন্দোলন নয়, সমাজমাধ্যম বা অনলাইনে এ ধরনের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কিছু পোস্ট করলেও তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাঁদেরও ভিসা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে নতুন ভিসা আবেদনও। এর মধ্যে রয়েছে ‘এফ’ (পড়ুয়া), ‘এম’ (বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থী) এবং ‘জে’ (অধ্যাপক ও গবেষক), সব ধরনের ভিসা-ই। সংবাদ সংস্থা