ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। —ফাইল চিত্র।
গত বছরের মতোই এ বারও শীতের মরসুমে ইউক্রেনে নতুন করে বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার।
কিন্তু সঙ্কটের এই মরসুমে কিভে আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির আর্থিক সাহায্যে টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতরের একটি বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে আমেরিকার কংগ্রেসকে সতর্ক করে হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যে তহবিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তা চলতি বছরের শেষে ফুরিয়ে যেতে পারে।
অন্য দিকে, দিকে কিভকে সহায়তায় নতুন ৫৪০কোটি ডলারের (প্রায় সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা) একটি তহবিল নিয়েও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সঙ্কটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, পশ্চিম সীমান্তে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে কিভ। কারণ, গত বারের মতোই এ বারেও শীতে রুশ বাহিনী ফের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা তাঁদের। তারাও রাশিয়ার তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোর উপরে পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউক্রেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর শীতে রুশ সেনা ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তুষারপাতের জেরে বরফে ঢেকে যাওয়া ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনধারণ অসম্ভব। একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনের প্রায় এক কোটি বাসিন্দা বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। বরফে ঢাকা পড়া বাড়ির রুম হিটার কাজ করছে না। পানীয় জলের লাইন অকেজো হয়ে পড়ছে।