ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি। ছবি: এএফপি।
এ বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার ইরাকের আইন আল-আসাদে আমেরিকার বিমানঘাঁটি। সোমবার ভোরে সেখানে একাধিক রকেট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে বলে পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে। তবে ওই ঘাঁটির দায়িত্বে থাকা পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ড এখনও ‘ক্ষয়ক্ষতির’ বিষয়ে কোনও খবর জানায়নি।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও রাষ্ট্র বা সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, এর নেপথ্যে ইরান ফৌজ এবং তাদের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, শনিবার গভীর রাতে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের অদূরে ইজ়রায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের কয়েক জন সেনা কমান্ডার নিহত হয়েছিলেন। তারই ‘জবাবে’ এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, রবিবার রাতেই দামাস্কাসের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল তেহরান।
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর পক্ষে গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ইরান ফৌজ। অন্য দিকে, আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল মদত দিচ্ছে আসাদ বিরোধী বিদ্রোহীদের। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের উপকণ্ঠে জেইনাবিয়া এলাকায় বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডার সঈদ রাজ়ি মৌসাভি। ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদকে ওই ঘটনার জন্য দায়ী করেছিল ইরান। এর পরেই গত মঙ্গলবার ইরাক ও সিরিয়ায় মোসাদের ‘গোপন ডেরা’য় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করে ইজ়রায়েল।