Pakistan

পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়াতেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা এগোচ্ছে না, দাবি মার্কিন সরকারের

জম্মু-কাশ্মীরে যারা নাশকতা চালায়, তারা ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশেরই শত্রু বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৫৫
Share:

অস্বস্তি বাড়ল ইমরান খান সরকারের। —ফাইল চিত্র।

ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা না এগনোয় এ বার পাকিস্তানকেই দায়ী করল মার্কিন সরকার। শিমলা চুক্তি মেনে কাশ্মীর-সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা চায় তারা। কিন্তু পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডই যে এই আলোচনার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা মেনে নিয়েছে ওয়াশিংটন। তাদের মতে, লাগাতার সন্ত্রাসে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। তাদের জন্যই সীমান্ত সন্ত্রাস বেড়েছে, যা দুই দেশের আলোচনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন সরকারের দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিভাগের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত সচিব অ্যালিস জডি ওয়েলস বলেন, ‘‘সফল ভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালাতে গেলে, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস গড়ে তোলা দরকার। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল, পাকিস্তানের লাগাতার সন্ত্রাসে মদত জুগিয়ে যাওয়া। ওই সন্ত্রাসীরা দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত-সন্ত্রাসে লিপ্ত।’’

জম্মু-কাশ্মীরে যারা নাশকতা চালায়, তারা ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশেরই শত্রু বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে স্বাগত জানালেও, দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তাদের একহাত নেন অ্যালিস। তিনি বলেন, ‘‘লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে নাশকতায় ইন্ধন জোগানোই ওই সংগঠনগুলির কাজ। ওই সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না পাকিস্তান।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাড়া নেই! আগামিকাল ‘করতারপুর চুক্তি’ স্বাক্ষর নিয়ে সংশয়

আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গোলাবর্ষণের পর রাজনাথ, মালিকের নিশানায় পাকিস্তান​

তবে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলে মত অ্যালিসের। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোমবার একদফা আলোচনা হয় মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটিতে। সেখানেও ভারত-পাক আলোচনাতেই জোর দেন অ্যালিস। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি মেনে ভারত-পাক আলোচনা হলে, তাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।’’ এর আগে, ২০০৬-২০০৭ সালে সকলের অগোচরে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে কাশ্মীর-সহ একাধিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেন অ্যালিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement