মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে কাকতালীয় ভাবে অচেনা পাথর হাতে পড়েছিল এক পশুপালকের। পাথরটি কী তিনি জানতেন না। তবে এ রকম পাথর আগে কখনও দেখেননি।
উজ্জ্বল, সাদা, সূর্যের আলো পড়লে যেন জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে তার চারপাশ থেকে। ঠিক যেন হিরে!
ওই পশুপালকের এই আবিষ্কারের কথা সামনে আসার পর আর এক কাণ্ড। বড়লোক হতে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে লোকজন ছুটছেন সেই জায়গায়।
শ’য়ে শ’য়ে লোকজনের এই হুল্লোড় নিমেষে নজর টেনেছে সারা বিশ্বের। সত্যিই ওই এলাকার মাটির নীচে হিরে রয়েছে কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ।
দক্ষিণ আফ্রিকার খালাথি গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামে একটি বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে সচরাচর মানুষের যাতায়াত নেই।
মূলত গৃহপালিত পশুদের চারণক্ষেত্রই হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। সম্প্রতি সেখান থেকেই মাটি খুঁড়ে ওই অচেনা উজ্জ্বল পাথরের খোঁজ মেলে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ’য়ে শ’য়ে লোক ওই পাথরের খোঁজে শহরে আসতে শুরু করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন মাটি খোঁড়ার নানা যন্ত্রও।
তাঁদের বিশ্বাস ওই এলাকায় মাটির নীচে হিরে লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু মাটি খুঁড়ে কোয়ার্জ ছাড়া আর কিছুর সন্ধান এখনও মেলেনি।
আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশের বেশির ভাগ পরিবারই দরিদ্র সীমার নীচে।
সে কারণেই এই আবিষ্কারের কথা জানতে পেরে বহু মানুষ ছুটে গিয়েছেন ওই এলাকায়। তাঁদের অনেকেই নানা রকম দেখতে পাথরও উদ্ধার করেছেন। ওই অঞ্চলে ঘাঁটি ফেলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে একাধিক হিরে উত্তোলক সংস্থাও।
কিন্তু সত্যিই সেখানে হিরে পাওয়া গিয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল পাঠানো হয়েছে সেখানে।
যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা খালি করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তার পরই সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারবেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধার হওয়া পাথরগুলি হিরেরই ভিন্ন রূপ কি না তা জানা যাবে।
তার উপর করোনাকালে এত লোকের জমায়েতও উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।