হাসি দিয়ে নেটাগরিকদের মন জয় করেছে উনি। ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
সত্যজিৎ রায়ের ‘অসমঞ্জবাবুর কুকুর’ গল্পে ব্রাউনিকে মনে আছে? চোখের সামনে কোনও মজাদার ঘটনা ঘটলে ‘হাসত’ ভবানীপুরের বাসিন্দা অসমঞ্জবাবুর পোষ্য কুকুর ব্রাউনি। তার হাসিই রহস্যময় করেছিল গোটা গল্পকে। সম্প্রতি জাপানের ‘উনি’ একই কারণে নেটদুনিয়ার সেনসেশন বনেছে। তবে জাপানের এই পোষ্যের হাসির কারণ হরেক রকম খাবার।
উনি জাপানের টোকিয়ো শহরে থাকে। শিবা ইনু ব্রিডের এই সারমেয়র বয়স মাত্র কয়েক মাস। কিন্তু এর মধ্যেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। সেখান থেকে তার দৈনন্দিন জীবনের ছবি-ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেই সব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খাবার সামনে থাকলেই ‘হেসে’ ওঠে উনি। তা পিৎজা হোক বা চাউমিন। স্যালাড হোক বা আইসক্রীম।
চোখের সামনে খাবার দেখলেই খুদে উনির মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হয়, সে আনন্দে হাসছে। মুখের সেই অভিব্যক্তির মাধ্যমেই নেটাগরিকদের হৃদয়ে নিজের জায়গা করেছে উনি। দেখুন সেই পোস্ট—
A post shared by うに🐶UNI (@shiba_uni_20190107) on
কিন্তু কুকুর কি সত্যিই মানুষের মতো হাসতে পারে? এই প্রশ্ন ঘিরে সন্দিহান ছিলেন অসমঞ্জবাবুর কুকুর গল্পের বিভিন্ন চরিত্ররা। উনির ‘হাসি’ ভাইরাল হতেই উঠছে সেই প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কলকাতার একটি প্রাণী চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্ণধার রাণা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাগ, বিরক্তি, আনন্দ, দুঃখের মতো বিভিন্ন অনুভূতি রয়েছে কুকুরের। পালককে দেখলে বা তাদের সঙ্গে খেলা করলে কুকুররা খুব আনন্দিত হয়। কিন্তু লেজ নেড়ে সেই অনুভূতির প্রকাশ করে। তাই বলে আনন্দিত হয়ে মানুষের মতো হাসছে কুকুর— এ রকম ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।“আর উনি বা ব্রাউনি-র ‘হাসি’র ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘বিভিন্ন গোত্রের কুকুরের মুখের গড়ন বিভিন্ন রকম হয়। কিছু গোত্রের কুকুর খুশি হলে তাদের মুখের অভিব্যক্তির যে বদল ঘটে তা দেখে মনে হয় যেন হাসছে।’’ সাধারণত যে কুকুরের মুখের গড়ন গোলাকার বা থ্যাবড়া তাদের ক্ষেত্রেই হাসির ব্যাপারটা বেশি মনে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
A post shared by うに🐶UNI (@shiba_uni_20190107) on
A post shared by うに🐶UNI (@shiba_uni_20190107) on
A post shared by うに🐶UNI (@shiba_uni_20190107) on