খেরসনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। ছবি রয়টার্স।
মাস কয়েক আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছিলেন, খেরসন তাঁদের। যদিও ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত এই বিশেষ অঞ্চলে পুতিনদের আধিপত্য বেশি দিন টিকল না। গত সপ্তাহেই সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ক্রেমলিন। যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কাছে এক বড়সড় জয় বলেই মত যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের। আজ হঠাৎ সেই খেরসনে পৌঁছে গিয়ে সকলকে চমকে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। কূটনীতিকদের মত, স্থানীয়দের পাশে থাকার বার্তা দিতেই জ়েলেনস্কির এই হঠাৎ-সফর।
এর আগে রবিরার রাতের ভিডিয়ো-বার্তায় ‘বন্ধু এবং সহযোগীদের অসময়ে পাশে থাকার’ জন্য ধন্যবাদ জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে রুশ সেনা। পাল্লা দিয়ে চালিয়ে গিয়েছে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধও। সংখ্যায় তার হিসাব করতে গেলে প্রায় ৪০০ পেরিয়ে যাবে বলেই দাবি জ়েলেনস্কির। আর খেরসনে পৌঁছে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখানকার পরিস্থিতি এখনও বেশ ভয়ঙ্কর। এখানে আসা জরুরি ছিল, এখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে কথা বলা, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটা খুবই জরুরি ছিল। যাতে সকলে বুঝতে পারেন যে, আমরা শুধু মুখেই খেরসনে ফেরার কথা বলছি না। সত্যি সত্যিই ফিরছি এখানে। আমরা এখানে ফের আমাদের পতাকা উত্তোলন করছি।’’
রুশ সেনা এলাকা ছাড়ার পরে শনিবারই ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে এলাকা পুনর্দখল করে ইউক্রেনীয় সেনা। উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তাঁদের স্বাগত জানান স্থানীয়েরা। চলে বাহিনীর সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহপর্ব। এর পর প্রধান সড়কে জড়ো হয়ে সকলে মিলে গলা মেলান জাতীয় সঙ্গীতে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের পর্দায় সম্প্রচারিত হয়েছে সেই ছবি।