ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। মস্কো আজ অভিযোগ করেছে, ওই উপদ্বীপ অঞ্চলের বন্দর শহর সেভাস্টোপোলে রুশ নৌবহর ‘ব্ল্যাক সি ফ্লিট’-এর সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যার জেরে ওই ভবনটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত। রাশিয়ার নৌসেনার এক সদস্য এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, ওই সেনা আপাতত নিখোঁজ। তাঁর কোনও খোঁজ রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও ইউক্রেনের তরফে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি।
সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিয়ো আজ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, রুশ নৌসেনার সদর দফতর থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। রুশ সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, আজ ইউক্রেনের ছোড়া অন্তত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তারা গুলি করে নামিয়েছে। সেভাস্টোপোলে ক্রেমলিন-নিযুক্ত মেয়র মিখাইল রাজ়ভোজ়হায়েভ এক বিবৃতির মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সিটি সেন্টারের দিকে যেতে বারণ করেছেন। আজ হামলার পর পরই নৌসেনার সদর দফতর সংলগ্ন বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মেয়র জানিয়েছিলেন, সাইরেনের শব্দ শোনা মাত্রই যেন সাধারণ মানুষ কোনও না কোনও বহুতলে আশ্রয় নেন। আরও হামলার আশঙ্কায় স্থানীয়দের সতর্ক থাকতেও অনুরোধ করেন মেয়র।
আজকের হামলা নিয়ে সরকারি ভাবে একটি শব্দও খরচ করেনি কিভ। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের নানা এলাকায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মস্কোর। গত সপ্তাহেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলে একটি রুশ নৌসেনা ঘাঁটিতে। আক্রান্ত হয়েছে একটি রুশ ডুবোজাহাজ এবং একটি রণতরীও। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি আজই কানাডা সফরে রওনা হয়েছেন। কিভের পাল্টা অভিযোগ, শীতকাল আসন্ন। তার আগে থেকেই বিভিন্ন জ্বালানি পরিকাঠামোয় হামলা চালানো শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। যদিও ইউক্রেন সরকার জানাচ্ছে, আগের বারের তুলনায় এ বার তারা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রেখে রাখছে। হামলা চালিয়েও পুতিন সরকার তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলে দাবি কিভের।