—ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে টানাপড়েনের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপে নেটোর শক্তি বৃদ্ধির জন্য অল্প সংখ্যক হলেও সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে নেটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ ও পূর্ব ইউরোপে অল্প সংখ্যক হলেও সেনা মোতায়েন করবেন তিনি। যদিও, আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় সামরিক আধিকারিক মার্ক মাইলি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এই মুহূর্তে দুই তরফেরই অপূরণীয় ক্ষতি ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি অবশ্য ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ান সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করেছেন বিশ্বের তাবড় দেশের প্রশাসনকে। এ বিষয়ে আমেরিকার বিদেশ সচিব লয়েড অস্টিনও জানিয়েছেন, এখনও এ বিষয়ে কূটনৈতিক আলোচনার জায়গা রয়েছে। ফলে এখনই সংঘর্ষ আবশ্যক নয়। অস্টিন এ-ও জানান, পুতিন যদি এখনও ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ করেন, অর্থাৎ ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেন... তা হলেই আর সংঘাত বাঁধে না। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও নেটোর কাছে ইউক্রেন-সহ একাধিক প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আবেদন দাবি জানিয়েছে রাশিয়া, তবে আমেরিকার তরফে তা খারিজ করা হয়েছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ইউক্রেন দখল করবে রাশিয়া। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে ফোনালাপে পুতিন জানিয়েছেন, এরকম কোনও উদ্দেশ্য রাশিয়ার নেই। অন্য দিকে, শনিবারই সামরিক মহড়ার জন্য বেলারুশে পৌঁছল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিত্রবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্দেশে চলবে এই মহড়া।