কিভের দিকে এগিয়ে যাওয়া রুশ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি এবং সামরিক যানের বহরের প্রতিটি ছবিতে খুঁটিয়ে দেখলে এক ‘রহস্যের’ খোঁজ মিলবে। প্রতিটি যানেই সাদা রঙে লেখা হয়েছে ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষরটি। তবে তারও রকমফের রয়েছে।
ফাইল চিত্র।
আকাশপথে লাগাতার বিমান আর ক্ষেপণাস্ত্র হানা। ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে, সংক্ষিপ্ত পথগুলি ধরে রাজধানী কিভের দিকে ট্যাঙ্ক আর সাঁজোয়া গাড়ির বহরের বহরের অগ্রগতি। রুশ ফৌজের ইউক্রেন অভিযানের প্রথম দু’দিনে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। আর যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে পাওয়া নানা ‘ভিডিয়ো ফুটেজ’ আর ছবি থেকে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। যা দেখে ভ্লাদিমির পুতিনের ‘অপারেশন জেড’ সম্পর্কে কৌতূহল ছড়িয়েছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে।
কিভের দিকে এগিয়ে যাওয়া রুশ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি এবং সামরিক যানের বহরের প্রতিটি ছবিতে খুঁটিয়ে দেখলে এক ‘রহস্যের’ খোঁজ মিলবে। প্রতিটি যানেই সাদা রঙে লেখা হয়েছে ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষরটি। তবে তারও রকমফের রয়েছে। কোনও ‘জেড’-কে ঘিরে রয়েছে ত্রিকোণ চিহ্ন। কোনওটিতে বা চতুষ্কোণেই বা বৃত্ত। আবার কোনও ট্যাঙ্ক বা গাড়িতে ‘জেড’ লেখা শুধুই!
সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ রুশ বহরের অবস্থান এবং চিহ্ন খুঁটিয়ে দেখে মনে করছেন, কিভে পৌঁছনোর পূর্বনির্দিষ্ট পথের সঙ্কেত রয়েছে তাতে। অর্থাৎ, ওই ত্রিকোণ-চতুষ্কোণ সঙ্কেতেই নির্ভর করছে রুশ সেনার আর্মাড-আর্টিলারি-মেকালাইজট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়নগুলি কোন কোন পথ ধরে কিভের দোরগোড়ায় পৌঁছবে। তা ছাড়া পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভুক্ত ইউক্রেন এবং রাশিয়া একই ধরনের ট্যাঙ্ক এবং সামরিক যান ব্যবহার করে। রুশ বায়ুসেনার বিমানহানার সময় ‘সেমসাইডের’ সম্ভাবনা এড়াতেও এমন হতে পারে বলে তাঁদের মত।