ছবি: রয়টার্স।
মাস ছয়েক ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হতাহত হয়েছেন রাশিয়ার ৭০ থেকে ৮০ হাজার সেনা। সম্প্রতি এমন দাবি করল পেন্টাগন। অন্য দিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি ছিল, এখনও পর্যন্ত তাদের ৪২,২০০ সেনার মৃত্যু হয়েছে।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগনের এক শীর্ষকর্তা কলিন কাল সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর হতাহতের সংখ্যা আসলে কত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও অন্তত ৭০-৮০ হাজার সেনার নিহত এবং আহত হয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, হতাহতের সঠিক সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। তবে অন্তত এই সংখ্যক সেনাকে হারিয়েছে রাশিয়া।
মিলিটারি টাইমস নামে একটি সংবাদমাধ্যমেও একই দাবি করেছেন তিনি। কলিন বলেন, ‘‘যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে অনেক ধোঁয়াশা দেখা দেয়। তবে আমার মতে, ছ’মাসের কম সময়ে হয়তো ৭০,০০০-৮০,০০০ রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি এই অভিযানকে ‘আক্রমণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে এই যুদ্ধে রাশিয়ার ‘প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি’ হলেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পেন্টাগনের ওই কর্তার দাবি, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি চার কোটিরও বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিকের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে রাশিয়াকে। অন্য দিকে, আমেরিকা-সহ বহু দেশের থেকে সামরিক সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন ১০০ কোটি টাকার একটি সামরিক প্যাকেজ।
সম্প্রতি ইউক্রেনকে বহু অস্ত্রশস্ত্রের জোগান দিয়েছে জো বাইডেন সরকার। তার মধ্যে রয়েছে, হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস), ৭৫০ রাউন্ডের ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ, ২০টি মর্টার সিস্টেম এবং ২০,০০০ রাউন্ডের মর্টার গোলাবারুদ-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি ইউক্রেন। তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক ঘনিষ্ঠের দাবি, প্রতি দিন কমপক্ষে ২০০ জন করে সেনাকে হারাচ্ছেন তাঁরা।