রাশিয়ার আঘাতে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। ফাইল চিত্র ।
কোনও ভাবেই যেন কেউ ইউক্রেনের কোনও সীমান্ত চেকপোস্টের দিকে না যান। সীমান্ত চেকপোস্টের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলেও যেন তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই দূতাবাসের আধিকারিকদের জানান। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের এমনটাই নির্দেশ দিল ভারতীয় দূতাবাস। শনিবার সকালে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক টুইটবার্তায় এই বিষয়টি জানানো হয়।
টুইটবার্তায় বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের বিভিন্ন সীমান্ত চেকপোস্টে পরিস্থিতি খুব সংবেদনশীল। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আটকে থাকা ভারতীয়দের বাইরে বার করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’ টুইটবার্তায় আরও বলা হয়েছে, যে সব ভারতীয়েরা কোনও রকম আভাস না দিয়েই প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন চেকপোস্টের দিকে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের উদ্ধার করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।
ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা খবর পান যে, প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া ভারতীয় নাগরিকরা। বিশেষ করে পড়ুয়ারা চেকপোস্টের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালানোর চেষ্টা করছে। প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে তাঁদের সহজেই দেশে ফেরানো হবে, এই আশাতেই সীমান্ত চেকপোস্টের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন ভারতীয় নাগরিকরা। তবে দেশের মানুষকে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই পোলান্ড এবং হাঙ্গেরি সীমান্তে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। আকাশপথে আশঙ্কা থাকায় স্থলপথেই সীমান্ত এলাকায় পৌঁছেছে প্রতিনিধি দলগুলি।
ভারতীয় দূতাবাস শুক্রবার জানিয়েছিল যে, ৪৭০ জনেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে শীঘ্রই বেরিয়ে যাবেন এবং পোরুবনে-সিরেট সীমান্ত দিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করবে। তবে পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের, যে যেখানে আছে সেখানেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের একটি বড় অংশ মেডিক্যাল পড়ুয়া। ভারতের থেকে ইউক্রেনে বেসরকারি জায়গায় মেডিক্যাল পড়ার খরচ অনেক কম। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের পর অনেকেই ইউক্রেনে পাড়ি দেয়।