রুশ হামলায় বিধ্বস্ত খারকিভ। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও মুহূর্তে শুরু হতে পারে রুশ বাহিনীর ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খারকিভে থেকে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের বুধবার সন্ধ্যার (স্থানীয় সময়) মধ্যে এলাকা ছাড়ার জন্য নির্দেশিকা পাঠাল কিভের ভারতীয় দূতাবাস।
টুইটারে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তার কারণে দ্রুত খারকিভ ছাড়ুন। চূড়ান্ত সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা (আন্তর্জাতিক সময় রাত ৯টা)-র মধ্যে পিসোচিন, ববই বা বেজলিউদিভকা শহরে পৌঁছানো উচিত। প্রয়োজন হলে পায়ে হেঁটে।’ ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের নিকটতম শহর পিসোচিনের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার।
যদিও খারকিভে আটক ভারতীয় পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, লাগাতার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানহানার মধ্যে পায়ে হেঁটে ১১ কিলোমিটার কার্যত অসম্ভব। প্রসঙ্গত, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই কিভের ভারতীয় দূতাবাসও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার সকালে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ায় চলে আসা তিনশোরও বেশি ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান।
রুশ বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা এড়াতে সোমবারই খারকিভে আটক ভারতীয়দের ট্রেনে করে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, গাড়িতে গেলে যুদ্ধবিমানের নিশানা হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু খারকিভ স্টেশনে আটক বহু ভারতীয় এখনও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার খারকিভ শহরেই রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধরের মৃত্যু হয়েছিল।