গভীরতম মেট্রো স্টেশন।
ইউক্রেনের আকাশে বারুদের গন্ধ। রাজধানী কিভ যেন এক সন্ত্রস্ত শহর। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন শহরের মেট্রো স্টেশনে। আসলে স্টেশনগুলি অনেকটাই নির্ভরযোগ্য। সেগুলি মাটির এত গভীরে যে ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বড় আশ্রয়। সবচেয়ে বড় আশ্রয় রাজধানী কিভ শহরের আর্সেনালনা স্টেশনটি। বিশ্বের গভীরতম পাতাল স্টেশনগুলির অন্যতম এটি। মাটির ৩৪৬ ফুট নীচে প্লাটফর্ম। দ্রুতগামী চলমান সিঁড়িতে গেলেও স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগে মিনিট পাঁচেকের বেশি। বলা হয় গোটা আইফেল টাওয়ার দাঁড় করিয়ে দিলেও উপরে কিছুটা জায়গা ফাঁকা থেকে যাবে।
১৯৬০ সালে তৈরি হওয়া এই স্টেশনটিকে প্রাকৃতিক কারণেই এত গভীরে বানাতে হয়েছিল। কিন্তু এখন যুদ্ধের আবহে সেই গভীরতাই হয়ে উঠেছে কিভের বাসিন্দাদের কাছে অনেকটা নিশ্চিন্ত আশ্রয়। আর তাই রাশিয়ার হামলা শুরু হতেই শয়ে শয়ে মানুষ ওই স্টেশনে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শুধু আর্সেনালনা নয়, এর আগে পরের আরও অনেক গভীর স্টেশন রয়েছে কিভ শহরে। তার সবক’টিই হয়ে উঠেছে যুদ্ধ-সন্ত্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল।
আর্সেনালনা ছাড়াও মেট্রো রেল চালুর সময়ে ১৯৬০ সালে কিভ শহরে ভোকজালনা, ইউনিভার্সিয়েট, খ্রেসচাটিক এবং ডিপ্রো স্টেশন তৈরি হয়েছিল। এগুলি আর্সেনালনার মতো না হলেও বেশ গভীর। এই সব স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এখন সেই স্টেশনের প্লাটফর্মই মানুষের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই কিভ শহর ছেড়ে গাড়ি নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সেটা যাঁরা পারছেন না তাঁদের গন্তব্য মেট্রো স্টেশন। আকাশে বিপদের সময়ে পাতালই ভরসা কিভের ওই বাসিন্দাদের কাছে।