এই ধরনের রক্তাক্ত বাক্স নিয়ে চিন্তিত ইউক্রেন প্রশাসন। ফাইল চিত্র।
প্রথমে হুমকির চিঠি এখন রক্তাক্ত বাক্স। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ইউক্রেনের দূতাবাসে কেন ওই বা এই ধরনের বাক্স আসছে এই নিয়ে চিন্তিত ইউক্রেন প্রশাসন।
শুরু হয় মাদ্রিদের ইউক্রেন দূতাবাস দিয়ে। সেখানে পর পর হুমকির চিঠি এসেছিল। তার পর অন্যত্রও। তবে শুধু স্পেন নয়, অন্য কয়েকটি দেশের ইউক্রেন দূতাবাসেও এর পর আসতে শুরু করে রক্তাক্ত বাক্স। সব ক’টি বাক্সেই পাওয়া গিয়েছে পশুর চোখ।
ইউক্রেনের আইনসভার স্পিকার ওলেগ নিকোলেঙ্কো বলেছেন, “বাক্সগুলিকে কোনও বিশেষ তরলে চুবিয়ে রেখে তারপরে সেইগুলিকে রং করা হয়েছে। যার ফলে এক অদ্ভুত গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই বাক্সগুলি হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া এবং ইতালির দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। এই বাক্সগুলি কেন পাঠানো হচ্ছে দূতাবাসে তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। নিকোলেঙ্কো তাঁর সমাজমাধ্যমেও লিখেছেন,‘‘আমরা এই বাক্সগুলির অর্থ বোঝার চেষ্টা করছি।’’ তিনি আরও জানান, এর আগে যে দেশগুলি এমন হুমকি চিঠি পেয়েছে, তাদের প্রতিটির কিছু না কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই সপ্তাহে স্পেনের দূতাবাসে ৬টি হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সমস্ত দূতাবাসের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বাক্সরহস্য নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে অন্যান্য দেশও বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে।