গ্রামে আর বিয়ে হতে দেবেন না স্থানীয়রা! ছবি: টুইটার
বিয়ে হোক বা হুল্লোড়, ইংল্যান্ডের এই গ্রামে আনন্দ উদ্যাপনের জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসাবেও অক্সনিডের জুড়ি নেই। কিন্তু এই গ্রামই সম্প্রতি ছেয়ে গিয়েছে নানা পোস্টার এবং সাইনবোর্ডে। যাতে বড় বড় করে লেখা, ‘‘অনেক হয়েছে, আর নয়’’।
বিয়েবাড়ির আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রাই গ্রামে আর অতিথি চান না। তাঁরা গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে আগামী দিনে যাঁরা অক্সনিডে বিয়ে বা অন্য কোনও উৎসব উদ্যাপনের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের বার্তা দিয়েছেন। কোনও সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন।’’ কোনও সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘‘আর কোনও বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে।’’
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অক্সনিডে যাঁরা আনন্দ করতে আসেন, তাঁরা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যান। সাজানো বাগানে যত্রতত্র নোংরা ফেলা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ থাকে না। তাঁরা চলে গেলে গ্রাম বার বার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত হয়।
অক্সনিডে বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসব আয়োজনের রীতি অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে সেখানে বিয়ের আসর বসছে। কিন্তু, প্রাচীন রীতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতবিরেতে তারস্বরে গানবাজনার কারণে তাঁরা ভাল করে ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।
অক্সনিডে শতাব্দীপ্রাচীন একটি হল রয়েছে, সেখানেই মূলত বিয়ের আসর বসে। এত বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হত। কিন্তু অতিমারি-পরবর্তী সময়ে অক্সনিডে যত খুশি বিয়ের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তার পর থেকেই স্থানীয়দের উপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার সেই বিয়েবাড়িগুলির বিরুদ্ধেই একজোট হল অক্সনিড।