রাশিয়া মুক্তি দেওয়ার পর বুধবার রিয়াধে ফিরেছেন এইডেন আসলিন।
পূর্ব ইউক্রেনে বন্দি করে রেখেছিল রুশ সেনা। রবিবার ছাড়া পেয়ে সেই ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন ব্রিটেনের সেই নাগরিক। জানালেন, কুকুরের থেকেও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পিঠে ছুরি মেরে রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত করতে বাধ্য করেছিল রুশ বাহিনী।
রাশিয়া মুক্তি দেওয়ার পর বুধবার রিয়াধে ফিরেছেন এইডেন আসলিন। তাঁর সঙ্গেই রুশ বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন আরও চার জন ব্রিটিশ। মুক্তির পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়ে এইডেন জানিয়েছেন কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁকে। রুশ সেনারা ‘সুন্দর মৃত্যু’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মধ্য ইংল্যান্ডের নটিংহামশায়ারে জন্ম আসলিনের। থাকতেন ইউক্রেনে। সেখানে নৌসেনাবাহিনীতে ছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ধরে নিয়ে যায় আসলিনকে। বন্দি রাখা হয় পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎস্কে। সেখানে গত জুন মাসে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসিলনের দাবি, এর পর চলতে থাকে অত্যাচার। জেরার সময় রোজ মারধর করত রুশ বাহিনী। এক দিন কপালে আঘাত করেছিলেন রুশ জওয়ানরা। তিনি মাটিতে পড়ে যান। আসলিন জানান, তখন তাঁর সামনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন এক জওয়ান। বলেন, ‘‘আমি সাক্ষাৎ মৃত্যু।’’ এর পর ওই জওয়ান তাঁর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ আসলিনের। সাংবাদিকদের সেই দাগও দেখিয়েছেন ২৮ বছরের যুবক।
সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের হস্তক্ষেপে বন্দি বিনিময় হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের। তখনই মুক্তি পান আসলিন। তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব ইউক্রেনে একটি ছোট্ট কুঠুরিতে আটকে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ওই ঠান্ডায়ও সেখানে রাখা থাকত বরফ। ঘুরে বেড়াত আরশোলা। তাঁর কথায়, ‘‘গত ছ’মাস ধরে রোজ সকালে উঠে গাইতে হত রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত। এখন মনে হচ্ছে ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীতটা শিখে ফেলি।’’