সুয়েলা ব্রেভারমান। ফাইল চিত্র।
ইস্তফা দিলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারমান। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী লিজ় ট্রাসের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাস সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেংকে সরিয়ে দেন লিজ়। সুয়েলাকে সরানো হয়েছে নাকি তিনি নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা সম্প্রতি ভারতীয়দের নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। দাবি করেন, ‘‘ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি।’’ এর ফলে ভারত সরকারের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ব্রিটেনকে। ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। গত সপ্তাহে দলীয় সম্মেলনে অনুপ্রবেশকারীদের রোয়ান্ডা যাওয়ার স্বপ্নের কথা বলেও বিপাকে পড়েছিলেন সুয়েলা।
আবার গত কাল হাউস অব কমন্সে তিনি ব্রিটেনে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য লেবার পার্টিকে দায়ী করায় প্রবল হাসাহাসি হয়। সূত্রের খবর, সুয়েলা লিজ়ের কাছে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তবে পদত্যাগের আগে সরকারের সঙ্গে নিজের মতবিরোধের কথাও বলেছে্ন তিনি। তাঁর দাবি, লিজ় সরকার নির্বাচনী ইস্তাহারে থাকা অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারছে না।
নয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, গ্র্যান্ট শ্যাপসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কনজ়ারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে গ্র্যান্ট ঋষি সুনককে সমর্থন করেছিলেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে এ নিয়ে দ্বিতীয় সুনক-সমর্থক ট্রাস সরকারের অন্তর্ভুক্ত হবেন। বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টও সুনককে সমর্থন করেছিলেন।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পদত্যাগের ফলে ট্রাস সরকারের পরিস্থিতি নড়বড়ে হল বলে মত রাজনীতিকদের।