ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের সীমান্তে অনধিকার প্রবেশ করছেন শরণার্থীরা, সোমবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে এই উক্তি করার পরেই বিরোধীপক্ষ ও শরণার্থীদের অধিকার সংক্রান্ত কর্মীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।
সোমবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের শরণার্থী সমস্যা ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। আশ্রয় দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বা অ্যাসাইলাম সিস্টেমও আর যথাযথ নেই। প্রায় প্রতিদিনই যে ভাবে ছোট ছোট নৌকোয় করে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে অসংখ্য শরণার্থী পা রাখছেন ব্রিটেনের মাটিতে। ফলে, সবাইকে আশ্রয় দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে প্রশাসনের তরফে।
গত রবিবার, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর ব্রিটেনের দক্ষিণ উপকূলে ডোভারের একটি অভিবাসনকেন্দ্রে পেট্রল বোমা ছোড়ার ঘটনাটির নিরিখেই ব্রেভারম্যানের এই উক্তি। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ও ধৃত ব্যক্তি জেরা চলাকালীনই মারা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হাউস অব কমনসকে উদ্দেশ করে ব্রেভারম্যান বলেছেন, ব্রিটেনের মানুষের অন্তত এটা জানার অধিকার রয়েছে কোন রাজনৈতিক দল সত্যিই দেশের দক্ষিণ উপকূলের অনধিকার প্রবেশ বন্ধ করতে চায়। তাঁর কথায়, “শুধু এ বছরই এ দেশের দক্ষিণ উপকূলে পা রেখেছেন কম করে ৪০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাহায্য নিয়েছেন দুষ্কৃতীদের। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হয়তো নিজেরাই অপরাধী দলের সদস্য। তাই শরণার্থী মানেই অসহায়, এই ভান না করাই ভাল। সকলেই জানে আসল সত্যিটা কী। শুধু বিরোধীরাই শরণার্থীদের অসহায় বলে প্রতিপন্ন করতে চায়।” সুয়েলার এই মন্তব্যটি সমর্থন করেন তাঁর দফতরের অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। যদিও পরে তিনি বলেন, সুয়েলার কথাতেই তিনি সমর্থন করেছেন। আদতে শরণার্থীদের অপমান করার কোনও উদ্ধেশ্য তাঁর ছিল না।
সুয়েলার এই মন্তব্যের পরে প্রতিবাদে শামিল হন বিরোধীরা। লেবার পার্টি ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সদস্যেরা বলেন, এই ধরনের মন্তব্য নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের ‘সহানুভূতিশীল রক্ষণশীলতা’ মতবাদের একেবারেই পরিপন্থী। তাঁদের দাবি, দেশের ও দেশবাসীর নিরাপত্তার কথা না ভাবলেই এক মাত্র এই ধরনের উস্কানিমূলক কথা বলা চলে। ব্রিটেনের শরণার্থী কাউন্সিলও তীব্র প্রতিবাদ করেছে সুয়েলার মন্তব্যের।