ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়ের পর বরিস জনসনের উল্লাস। ছবি: টুইটার থেকে
ব্রেক্সিটের পক্ষেই মত দিল ব্রিটেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি। ৬৫০টি আসনের ভোটগ্রহণ শেষে হয়েছে বৃহস্পতিবার। আজ শুক্রবার ফল ঘোষণার শুরু থেকেই এগিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি। ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬টির বেশি আসনে জয় পেয়েছেন দলের প্রার্থীরা।
উল্টো দিকে লেবার পার্টি দু’শোর কাছাকাছি আসন পেয়েছে। যদিও এখন চূড়ান্ত ফলাফল আসেনি। তবে তার আগেই লেবার পার্টির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জেরিমি করবিন। পদত্যাগের পর তিনি বলেছেন, ‘ঐক্যের ইস্তাহার’ এখনও জনপ্রিয়। কিন্তু তবু ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থনের বিশাল ঢেউয়ের কাছে সেই নীতির হার হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘ব্রেক্সিট’ প্রশ্নেই ভোট হচ্ছে ব্রিটেনে। ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি। অধিকাংশ সমীক্ষায় কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের আভাস পেয়ে বরিস জনসন আগেই বলেছিলেন, ভোটের পর ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথ মসৃন হবে। ভোটের ফলের প্রবণতার ইঙ্গিত সেই দিকেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলতেই বরিস জনসন বলেছেন, কনজারভেটিভ পার্টিকে জিতিয়ে দেশের জনতা ব্রেক্সিটকে কার্যকর করার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
ব্রিটিশ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বড় অংশের মতে, এই জয় কার্যত কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাও অনেকে আশা করেননি। এমনকি, লেবার পার্টির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বলে পরিচিত বেশ কিছু জায়গাতেও থাবা বসিয়েছে কনজারভেটিভরা।
সমীক্ষায় হারের ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই উল্টো শিবিরে লেবার পার্টির অভ্যন্তরে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছিল। দলের মধ্যে থেকেই অনেকে জেরিমি করবিনের অপসারণ চাইছিলেন। করবিন জানিয়েছিলেন, ভোটের পরে পরেই সরে যাবেন। শুধু ভোটের পরের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আরও কিছুদিন দলের দায়িত্বে থাকবেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলের পর সেই দাবি আরও জোরদার হওয়ায় তাঁকে ইস্তফা দিতে হল বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।