প্রতীকী ছবি।
সমস্ত মতবিরোধকে দূরে সরিয়ে, বড়দিনের ঠিক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করল ব্রিটেন। ইইউ এবং ব্রিটেন দু’পক্ষই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে বৃহস্পতিবার। তবে এখন ব্রিটেন এবং ইইউ-র সদস্য দেশগুলির সংসদে ওই সিদ্ধান্ত পাশ করাতে হবে।
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আলোচনা চলছিল দু’পক্ষের। লাগাতার দর কষাকষির পর সাফল্য। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শেষ পর্যন্ত আমরা একটা পথ খুঁজে পেলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা একটা লম্বা এবং জটিল রাস্তা পেরিয়ে এলাম।’’ এই চুক্তি নিয়ে তাঁর মত, ‘‘ন্যায্য এবং ভারসাম্যের চুক্তি।’’ এ নিয়ে ব্রিটিশ মধ্যস্থতাকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এই চুক্তি ইউনাইটেড কিংডমের পক্ষে। যা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে শক্ত ভিত গড়বে।’’
একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের গলাতেও। চুক্তি হওয়ার খবর জানিয়ে প্রথমে টুইট করেন বরিস। লেখেন, ‘চুক্তি পাকা হল।’
আরও পড়ুন: গভীর হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট, কাঠমান্ডুর হাওয়া বুঝতে তৎপর বেজিং
আরও পড়ুন: কোভিড নিয়ে অফিসে, ২ আক্রান্ত থেকে ছড়ানো সংক্রমণে ওরেগনে মৃত ৭
পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ব্রিটেন তার সীমান্ত, আইন এবং সমুদ্রসীমানায় নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল। তাঁর মতে, এই বাণিজ্যচুক্তি ‘বৃহত্তম’। বরিসের দাবি, ব্রিটেন এবং ইইউ-র মধ্যে শুল্কবিহীন বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৬০ বিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা)।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে গণভোটের পর ৪৭ বছরের সম্পর্কে ছেদ টেনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। তার আগেই পাকাপোক্ত চুক্তি হল দু’পক্ষের। সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়েই মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল দু’পক্ষের।