গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বুলডোজার-নীতি’র বিরোধিতায় এ বার সরব হলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি। তাঁদের সঙ্গেই আরও একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক শীর্ষ আদালতের কাছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘হিংসা এবং নিপীড়নে’ রাশ টানার জন্য শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার লেখা আবেদনপত্রে সুপ্রিম কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বি সুদর্শন রেড্ডি, ভি গোপাল গৌড়া এবং এ কে গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং ছ’জন আইনজীবী সই করেছেন। বেছে বেছে মুসলিম নাগরিকদের হিংসায় অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সংবিধানের প্রহসন’ বলে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের এমন পদক্ষেপ আইনের শাসনের অগ্রহণীয় বিপর্যয়।’বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সম্প্রতি কানপুর, সহারনপুর এবং প্রয়াগরাজের একাধিক বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, যে বাড়িগুলি ভাঙা পড়েছে তাদের মালিক বা মালিকের পরিবারের কোনও সদস্য সাম্প্রতিক হিংসায় পুলিশের খাতায় অভিযুক্ত। বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তরপ্রদেশের আটটি জেলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৩৩৩ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ভাঙা হয়েছে বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত এবং তাঁদের আত্মীয়দের বাড়ি।
গত রবিবার বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রয়াগরাজের হিংসায় ধৃত ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া’-র নেতা জাভেদ আহমেদের বাড়ি। কিন্তু পরে দেখা যায় বাড়িটির নথি জাভেদের স্ত্রী পরভিন হাসিনার নামে। যোগী সরকারের বুলডোজার নীতির বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামি সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।