দু’টি ইউটেরাস বা দু’টি সারভিক্স রয়েছে, বিরল হলেও এমন ঘটনার কথা হয়তো শোনা গিয়েছে। কিন্তু কখনও শুনেছেন কোনও মহিলার দু’টি যোনি রয়েছে? অবাস্তব মনে হলেও উত্তর ক্যারোলিনায় এক মহিলার দেহে দু’টি যোনি মিলেছে। শুধু দু’টি যোনিই নয়, রয়েছে দু’টি ইউটেরাস এবং দু’টি সারভিক্সও।
ব্রিটানি জ্যাকবস। বয়স ২৬। দুই সন্তানের মা ব্রিটানিও জানতেন না যে তাঁর দু’টি যোনি রয়েছে। বিষয়টি সামনে আসে ছেলে জ্যাক জন্মানোর সময়। ব্রিটানি জানান, তিনি নর্ম্যাল ডেলিভারিই চাইছিলেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় তাঁর দু’টি যোনির জন্য।
ব্রিটানি জানান, চিকিৎসকরা যখন তাঁকে জানান যে তাঁর দু’টি যোনি রয়েছে, সেটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। যখন বিশ্বাস হয়, পাশাপাশি আরও একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর।
ব্রিটানি বলেন, “তখন বুঝতে পারলাম স্বামীর (গ্রেগরি) সঙ্গে সঙ্গমের সময় কেন এত ব্যথা লাগত।” চিকিৎসকরা জানান, ব্রিটানির যোনির মাঝামাঝি জায়গায় একটি কলা (টিসু) থাকায় তা কার্যত দু’টি যোনিতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘সেপ্টাম’ বলে। তাই সঙ্গমের সময় তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ব্রিটানি অস্ত্রোপচার করে এই কলার দেওয়াল সরিয়ে দিতে চাইছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেক সময় মহিলারা বুঝতেই পারেন না এই সেপ্টাম তৈরি হয়েছে। যোনিতে ব্যথা অনুভব করা বা পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলিও এই রোগের উপসর্গ হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গই ধরা পড়ে না।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে সঙ্গমের সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ব্রিটানির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকরা। তবে এই ঘটনা বিরল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।