টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি (বাঁ দিকে) টুইট করে বর্তমান পরিস্থিতির দায় নিলেন। ইলন মাস্কের (ডান দিকে) ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন। — ফাইল ছবি।
টুইটার অধিগ্রহণের পরই প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছেন নতুন কর্তা ইলন মাস্ক। এ বার সেই নিয়ে মুখ খুললেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি। যাঁরা এখনও সংস্থায় কাজ করছেন এবং যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, সকলের কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন জ্যাক।
টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক টুইট করে এখনকার পরিস্থিতির দায় নিলেন। জানালেন, অনেকেই তাঁর উপর ক্ষুব্ধ। তাঁর তৈরি করা নেটমাধ্যম ‘খুব দ্রুত’ আড়েবহরে বেড়েছে বলেই কাল হল, খেদোক্তি জ্যাকের।
টুইটারে তিনি লিখলেন, ‘‘টুইটারে যাঁরা চাকরি করতে এবং যাঁরা এখনও করছেন, সকলেই শক্ত এবং সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় সক্ষম। অবস্থা যত কঠিনই হোক না কেন, তাঁরা ঠিক কোনও না কোনও পথ খুঁজে বার করবেন। আমি বুঝেছি, অনেকেই আমার উপর ক্ষুব্ধ। তাঁদের এই পরিস্থিতির দায় আমার। সংস্থাকে খুব তাড়াতাড়ি অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছি। তার জন্য ক্ষমা চাইছি।’’
এর পর জ্যাক নিজের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। লেখেন, ‘‘যাঁরা টুইটারে অতীতে কখনও না কখনও কাজ করেছেন, তাঁদের সকলের ভালবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আর আশা করি না যে, এখন আমাদের এই ভালবাসা পরস্পরের প্রতি একই রকম থাকবে। আমি বুঝি।’’
২০০৬ সালে টুইটার শুরু করেন জ্যাক। চলতি বছর মে মাসে তিনি টুইটার থেকে ইস্তফা দেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি টুইটারের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত সংস্থার সিইও পদে ছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে টুইটারের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পরেই সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেন ইলন। এর পর সংস্থার ৭,৫০০ কর্মীর মধ্যে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেন তিনি। ইমেল করে জানিয়ে দেন, কে চাকরিতে বহাল থাকবেন আর কে থাকবেন না। শুক্রবার টুইটারে ছাঁটাইয়ের কারণও জানিয়েছেন বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন। লিখেছেন, সংস্থা লোকসানের মুখে পড়েছিল। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত। তার পরেই কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের বর্তমান অবস্থার দায় নিলেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক।